হোম অন্যান্যলাইফস্টাইল ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু

ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 15 ভিউজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই ইফতারে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজেই হজম হয়, পুষ্টিকর এবং শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে দই-চিড়া হতে পারে একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি শুধু সহজপ্রস্তুত খাবারই নয় বরং এটি সুস্বাদু ও প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা শরীরের জন্য উপকারী।

চিড়া শুকনো চাল থেকে তৈরি হয়, সহজে হজমযোগ্য এবং দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। অন্যদিকে, দই প্রাকৃতিকভাবে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি চিড়া দই ইফতারের জন্য একদম সঠিক একটি খাবার, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যসম্মত ও হালকা খাবার খেতে পছন্দ করে।

তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে: সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে চিড়ায় থাকা প্রচুর পরিমাণে শর্করা দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ফলে এটি ইফতারের জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

পানিশূন্যতা দূর করে: রমজানে দীর্ঘ সময় পানি পান না করার ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। দই শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমের সময় রোজা রাখলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, যা পূরণ করতে দই বেশ কার্যকর।

সহজে হজম হয় ও পাকস্থলীর জন্য আরামদায়ক: অনেকেই ইফতারে ভারী ও তেল-মশলাযুক্ত খাবার বেঁছে নেন। যার ফলে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। চিড়া ও দই খুব সহজপাচ্য খাবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর জন্য আরামদায়ক। বিশেষ করে, দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে দই-চিড়া খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য চিড়া দই একটি ভালো বিকল্প। এটি কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

প্রোটিনের ভালো উৎস: দই উচ্চমানের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যা শরীরের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যারা রোজার সময়ও শারীরিক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি ভালো বিকল্প।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া দইয়ের ভিটামিন ও মিনারেল শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়।

যেভাবে খাবেন?

এক কাপ চিড়া পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, যাতে এটি নরম হয়।

এরপর এতে দুই-তিন টেবিল চামচ দই মিশিয়ে দিন।

স্বাদ বাড়াতে মধু, গুড়, বা ফলের টুকরো যোগ করতে পারেন।

চাইলে সামান্য ড্রাই ফুড দিতে পারেন।

ভারী ও ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে হালকা ও পুষ্টিকর কিছু খাওয়া ভালো। তাই এই রমজানে আপনার ইফতারের মেনুতে দই-চিড়া যোগ করুন, সুস্থ ও সতেজ থাকুন!

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন