জাতীয় ডেস্ক:
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১০ বছরের যাত্রাপথে বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে এক যুগান্তকারী ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবে। রোববার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশের এভিয়েশনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে নতুন সংযোজিত ৪৩৬ আসনের বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফটের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউএস-বাংলা।
এতে বলা হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ২১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্দেশে গমন করে এবং পুনরায় বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ারবাসটি। দ্রুতগতি সম্পন্ন এয়ারবাসটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট।
চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অবতরণ করার সময় উড়োজাহাজে অবস্থানকারী যাত্রীরা করতালির মাধ্যমে ককপিট ক্রুদের অভিনন্দন জানান।
এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে খুব শিগগিরই ইউএস-বাংলার ঢাকা-দুবাই, ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ, আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউএস-বাংলার বহরে আরও একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে চলেছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ২৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।