হোম জাতীয় আসামীপক্ষ স্বাক্ষী জেরা না করায় সাতক্ষীরায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার বাদী সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়নি

আসামীপক্ষ স্বাক্ষী জেরা না করায় সাতক্ষীরায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার বাদী সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়নি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 97 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও আসামীপক্ষ স্বাক্ষীদের জেরা না করায় মামলার বাদী সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়নি। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ুন কবীর এর আদালতে বাদীর জেরা পর্ব শুরু করার আদেশ দিলেও আসামীপক্ষ বাদীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য হওয়ায় তারা সাক্ষী জেরা করতে অস্বীকৃতি জনিয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির ৯জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর বিগত ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্ট করেন আসামীরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগীতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য শেষ করার জন্য চীফ জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন