আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির শোভনালীতে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ী ভাংচুর করাসহ আসবাব পত্র তছনছ করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের মৃত কায়েম গাজীর পুত্র শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুস সাত্তার গাজী তার কন্যা শামীমা খাতুনের নামে একই গ্রামের ইনতাজ আলী গাজীর পুত্র আইয়ুব আলী গাজীর কাছ থেকে ৩মাস পূর্বে তার ঘরবাড়ীসহ গোদাড়া মৌজায় ৮শতক ভিটাবাড়ী জমি ক্রয় করে। জমির মালিক আইয়ুব আলী গাজী তার বিক্রয় করা জমি গ্রহিতাকে সকলের উপস্থিতিতে দখল বুঝে দেয়।
দখল বুঝে নেওয়ার পর দফদার আব্দুস ছাত্তারের কন্য বসবাস করে আসছিল। কিন্তু সে সময় কোন বাঁধা প্রদান না করে গতকাল সকালে দাতার বোন-বোনাই সহ তাদের পরিবারের লোকজন ওই ঘরসহ জমি তাদের দাবী করে একই গ্রামের মধু সরদার ও তার পিতা শুকুর আলী, মাতা আছিয়া খাতুনসহ তার ছোট ভাই মিলন হোসেন দলবদ্ধ হয়ে বেআইনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে উক্ত ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের জন্য ঘরবাড়ী ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র তছনছ করে বাহিরে ফেলেদিতে থাকলে দফাদার আব্দুস সাত্তার গাজীর কন্যা শামীমা খাতুন এতে বাঁধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বলে জমি কেনার সাধ মিটিয়ে দেব বলে ধারালো দা উচিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্ব্যত হলে প্রাণের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পাশ্ববর্তি এক বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এ সময় তারা উক্ত ক্রয় জমির ঘেরাবেড়া কেটে ক্ষতি সাধন করাসহ ঘেরার গায়ে থাকা নেটজাল নিয়ে যেতে থাকে ও বলে এ জমিতে যে আসবে তার আর ফিরে যেতে দেব না বলে জীবন নাশের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ব্যাপারে থানায় দফাদার আব্দুস সাত্তার গাজী বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ওসি গোলাম কবীর অভিযোগ পেয়ে এএসআই রুবেল হোসেনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ বিষয় তদন্ত করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে জমির কাগজ পত্র নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলে আসে। উভয় পক্ষ গতকাল থানায় হাজির হয়। এরপর দাতার (জমির মালিক) কাগজ পত্রে তার ঘরবাড়ীসহ ৮শতক জমি সে বিক্রয় করেছে প্রমান করতে সক্ষম হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ জমি দাবী করে তাদের জমি কাগজ পত্র দেখায় প্রমান করতে না পারায় ওই জমিতে আর না যাওয়ার জন্য পুলিশ নিষেধ করাসহ ক্রয়মালিক (গ্রহিতাকে)’র ঘরবাড়ী ভাংচুর ও মালামালের ক্ষতি পূরন দেওয়ার জন্য বলেন।
এ নিয়ে কোন পক্ষ পুনরায় গোলযোগ করলে ক্ষমা করা হবে না বলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ। তবে জমির মালিক আইয়ুব আলী গাজী জানান আমার ঘরবাড়ি সহ দীর্ঘ দিনের দখলীয় পৈত্রিক জায়গা জমি অতি প্রয়োজনে বিক্রয় করিয়া দিয়াছি। প্রতিপক্ষ (বোন) ১৭শতক জমি দখলে আছে তার পরেও সে অতিরিক্ত দাবী করে আমার বিক্রেতাসহ আমার নামে থানায় একের পর এক অভিযোগ করে হয়রানী করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।