নিজস্ব প্রতিনিধি :
আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বাটরা বাজারে খাস জমিতে এক যুগের পুরনো পিলার দিয়ে ভীত করা জমি যুবলীগের সাইনবোর্ড স্থাপন করে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশী হস্তক্ষেপে কাজ বন্দ হলেও ঘটনা নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অসহায় পরিবারের আকুতি মানবমনকে কাপিয়ে তুলছে। বাটরা বাজারে কালভার্টের দক্ষিণপাশে খাস জমিতে ১০/১২ বছর আগে বাটরা গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন সানার পুত্র কেরামত আলিসহ শরবত আলি ও বিল্লাল চৌকিদার ৩ জনে ৩টি পজেশান নিয়ে ব্যবসা করার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। পরবর্তীতে সেখানে পাক পিলার দিয়ে ভীতের কাজ করা হয়। অন্যরা দোকান নির্মান করে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করলেও অর্থের অভাবে কেরামত কাজ এগুতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি সেখানে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেন। তার পুত্র মফিজুল সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করবে।
শোভনালী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন নয়ন, সেক্রেটারী আজমীর হোসেনের নেতৃত্বে ঠুনু ও বিষ্ণসহ সহযোদিরা গত সপ্তাহে তাদের পজেশান থেকে সামান্য দূরে যুবলীগের সাইন বোর্ড স্থাপন করে খাস জমি দখল করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তারা অসহায় কেরামতের পজেশানে গিয়ে সাইবোর্ড স্থাপন করে এবং ১ মে মহান মে দিবসের দিনে শ্রমিক ও দীন মজুর কেরামতের পজেশানে বাঁশ পুতে দখল কার্যকর করতে অপচেষ্টা শুরু করে। জানতে পেরে কেরামত স্ত্রী আছিয়া খাতুন বাঁধা দিতে গেলে ঠেলা দিয়ে ফেলে লাঞ্চিত করা হয়।
পুত্র মফিজুল এগিয়ে গেলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকী দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছে কাজ বন্দ করে দিয়েছেন। যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুস সাকিব লিটন জানান, আমরা যখন দায়িত্বে ছিলাম তখন দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হতে দেইনি। বর্তমানে নয়নের নেতৃত্বে সীমাহীন অপকর্ম দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। ১০/১৫ দিন পূর্বে খাস জমিতে সাইন বোর্ড দিয়ে দখল করার পর এখন পুনরায় অন্যের দখলীয় জমিতে সাইনবোর্ড দিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালান হচ্ছে।
তারা যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যের জমি দখল করিয়ে দেওয়াসহ নানা ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যুবলীগ সভাপতি নয়ন বলেন, দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে খাস জমিতে যুবলীগের অফিস স্থাপন করছি। ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে কোন পরিকল্পনা নেই। ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম.মোনায়েম হোসেন বলেন, কেরামত আলি ব্যবসা করতে পজেশানটি নিয়ে ভীতের কাজ করে। যুবলীগ নেতা নয়নের নেতৃত্বে তাদের দীর্ঘদিনের পজেশান যুবলীগের সাইনবোর্ড টানিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এব্যাপারে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি অসহায় কেমারত আলির পরিবারের আয়ের পথ উন্মুক্ত রাখতে তাদের দখল অটুট রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।