আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে বসত বাড়ীর সীমানা নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই গৃহবধুসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে কামালকাটি গ্রামের মৃত বিমল সরকারের পুত্র কুমারেশ সরকার গংদের বাড়ীর সীমানা নিয়ে একই গ্রামের হরিদাশ মন্ডলের পুত্র বিকাশ মন্ডল গংদের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন কুমারেশ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ীর সীমানার ঘেরাবেড়া ঠিক করছিলো। এ সময় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হরিদাশ মন্ডলের পুত্র বিকাশ মন্ডলের নেতৃতে , মৃত সুবোল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র কালিদাশ মন্ডল, তারাপদ মন্ডল , কালিদাশ মন্ডলের স্ত্রী পূর্নিমা মন্ডল, হরিদাশ মন্ডলের কন্যা তনুশ্রী মন্ডল ধারালো অস্ত্র শস্ত্রে শজ্জিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সীমানার ঘেরা দিতে নিষেধ করলে কুমারেশ গংরা প্রতিবাদ করায় উত্তেজিত হয়ে তাকে বেপোরোয়া মারপিট করতে থাকে। তার ডাক চিৎকার শুনে তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সরকার , মামা অরবিন্দু বাছাড়, মামী সুশিলা বাছাড়, ও মামাতো ভাই শুভ বাছাড় উদ্ধারে আসলে. তাদেরকেও এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে আহত করে। তারা ঘেরাবেড়া কেটে ও আসবাব পত্র ভাংচুর করে আনঃ ১০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তা ছাড়া গৃহবধু সন্ধ্যা রানী শ্লীলতাহানী শিকার হওয়াসহ তার ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৮আনা ওজনের চেইন ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের কানে থানা একজোড়া স্বর্ণের দুল টান মেরে ছিনিয়ে নেয়। আহতদের মধ্যে সন্ধ্যা রানী সরকার ও অরবিন্দু বাছাড়কে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর ৩জন কুমারেশ সরকার,সুশিলা, শুভ বাছাড়কে স্থানীয় ডাক্তার কাছে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত কুমারেশ বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার দাযের করেন। লিখিত এজাহার পেয়ে এসআই বিল্লাল হোসেন আহতদের খোজ খবর নিতে হাসপাতালে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে বাদী এ প্রতিবেদকে জানান।
ক্যাপশান ঃ আশাশুনির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্ধ্যা রানী সরকার ও অরবিন্দু বাছাড়।