হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে রাজমিস্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ইসরাফিল আটক, ভিকটিমের পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি!

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনিতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ীতে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাজমিস্ত্রী গৌতম মন্ডলকে নির্যাতনের ঘটনার হোতা একাধিক হত্যা মামলার আসামী দুর্ধর্ষ ইসরাফিল সরদারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে কাদাকাটি গ্রামের মৃত রউফ সরদারের ছেলে। শুক্রবার সকালে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবিরের নির্দেশে এএসআই পূর্নানন্দ হরি ও এএসআই নাজিম উদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাদাকাটির মৎস্য সেট থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। এদিকে নির্যাতনের শিকার ভিকটিমের পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে ইসরাফিলের ভাই একাধিক হত্যা মামলার আসামী মিকাইল ও তার সহযোগিরা। এঘটনায় আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের বাবা রনজিত মন্ডল।

তিনি জানান গত ৮ মাস আগে ইসরাফিলের বাড়ী পাকা ঘরের কাজ করার জন্য আমার ছেলে রাজমিস্ত্রী গৌতম অগ্রীম ১০ হাজার টাকা নেয়। কাজ শেষে হিসেব নিকেষ করে ইসরাফিলের কাছে ৪ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হলে কয়েকদিন আগে ইসরাফিল হাতুড়ী নিয়ে গৌতমকে মারবে বলে বাড়ীর পাশে ঘোরা ফেরা করে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার ছেলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫শে এপ্রিল সকাল ৭টায় কাজ করতে যাওয়ার সময় ইসরাফিলের বাড়ীর সামনে গেলে সে গৌতমকে টানতে টানতে বাড়ীর ভেতরে নিয়ে হাত পা বেঁধে টানা ৪ ঘন্টা যাবৎ নির্যাতন করে। তার আর্তনাদে স্থানীয় মেম্বর বাবু সরদার সহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে ইসরাফিল তাদেরকেও খুন জখমের হুমকি দেয়।

আমরা থানা পুলিশকে খবর দিলে ইসরাফিল ও তার লোকজন পুলিশ আসছে শুনে অজ্ঞান অবস্থায় গৌতমকে আমাদের উঠানে ফেলে যায়। পরের দিন ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে ইসরাফিল ও তার ভাই মিকাইল আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এঘটনায় এএসআই পুর্ণনন্দ হরি বলেন, ভিকটিমের বাবার এজাহারের ভিত্তিতে ইসরাফিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার আশাশুনি থানার ১(৫)২১নং মামলার একমাত্র আসামী হিসেবে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত: ইসরাফিল ও তার ভাই মিকাইল ২০১৫ সালের চাঞ্চল্যকর জাকির হোসেন মুকুল হত্যা মামলার ১নং ও ৩নং এজাহারভুক্ত আসামী। মিকাইলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সেতুকে হত্যার অভিযোগ আছে। এছাড়া ২০১৭ সালে চন্দন কাঠ পাচারের সময় চীনা বন্ধু সান সুন ইউ ইউ-কে নিয়ে পুলিশের হাতে মিকাইল গ্রেফতার হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন