নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষ রেজাউল ইসলাম মোল্যাকে ঘেরে শেয়ার না রাখায় কলেজ ছাত্র আবিদ হোসেন নামের এক যুবককে মিথ্যে মামলা ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে আবিদ হোসেনের মাতা আশাশুনির কল্যাণপুর গ্রামের মৃত মোবারক গাজীর মেয়ে মোছাঃ শরিফা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একমাত্র ছেলে আবিদ হোসেন (১৯) প্রতাপনগর এপিএস কলেজে বিএ অনার্সের ছাত্র। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ঘের ব্যবসার সাথে জড়িত। আবিদ হোসেন সহ ৯জন একটি ৬০ বিঘা জমির ঘের ইজারা নেয়। কিন্তু ৯ জনের মধ্যে ৪জন টাকা দিয়ে শেয়ারের অংশগ্রহণ করে। বাকী ৫জন টাকা না দেওয়ায় তাদের শেয়ার রাখতে পারেনি। এই ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষ জনৈক রেজাউল সহ অন্যান্যরা আমার ছেলেকে ফাসানোর ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে ও তার ৩ সঙ্গী সবুজ, হোসাইন ও কানন পাহারা দেওয়ার জন্য ঘেরে অবস্থান করছিলো। রেজাউল গংরা রাত আড়াই টার দিকে স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে যায় এবং তার দিয়ে মিথ্যা ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। প্রকৃত ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। যে ঘটনায় আমার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে সেই ঘটনার সাথে আমার ছেলের কোন সম্পর্ক নেই।
শরিফা খাতুন অভিযোগ করে আরো বলেন, রেজাউল ইসলাম একজন হিংস্র প্রকৃতির লোক। তার নামে ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। সে এতই দুর্দান্ত যে, তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঘেরে শেয়ার না নেওয়ায় সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে রেজাউল মোল্যা তার ভাইজিকে ব্যবহার করে আমার ছেলেকে মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসিয়েছে। মামলার বাদী স্বপ্না খাতুন একজন দুষ্টু প্রকৃতির মেয়ে। বিগত ৬ বছর আগে সে ভারতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়িতে আসার পর তার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার কোন স্বামী নেই এবং এলাকাবাসীর জানা মতে তার কোন বিয়ে হয়নি। মেয়েটি সর্বদা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। মেয়েটির এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রেজাউল আমার ছেলেকে বিনা অপরাধে জেল খাটাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে উক্ত ঘটনার সম্পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘের ব্যবসায় জড়িয়ে পার্টনারে ব্যবসা করতে গিয়ে রেজাউল গংদের রোষানালে পড়েছে আমার ছেলে। মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা থেকে ছেলে আবিদ হোসেন যাতে নিষ্কৃতি পেতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।