হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনিতে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্য ঘেরে মাছ লুটপাট

আশাশুনিতে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্য ঘেরে মাছ লুটপাট

কর্তৃক
০ মন্তব্য 113 ভিউজ

এম,এম সাহেব আলী, আশাশুনি :

আশাশুনির বড়দলে পুলিশের নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করে দুর্বল জনগোষ্ঠীর ভোগদখলীয় রেকডীয় সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সম্পত্তিতে মালিক পক্ষের মৎস্য ঘেরের বাসা, নেট-পাটা, বাঁশ-খুটি ছিড়ে ছুটে উদাও ও বাঁধ কেটে দিয়ে ৫০ সহস্ররাধিক টাকার মাছ লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ হারুন শেখ গংরা। থানায় লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে ঘুরে জানাগেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ মৌজায় সিএস ৬৪৪, ৬৪৫ ও ৬৮২ দাগে মোট ৭.৪৭ একর সম্পত্তির মূল মালিক মুহিম ঢালী।

তার মৃত্যান্তে এসএ ১২১ খতিয়ানে একই দাগের সমুদয় সম্পত্তির মালিক হন মুহিম ঢালির ৩ পুত্র বানী কান্ত ঢালী, কান্ত রাম ঢালী ও শান্তি রঞ্জন ঢালী। বানী কান্তর জীবোদ্বশায় ৩ পুত্রের মধ্যে মনোরঞ্জন ঢালী বাদে বাকী দু’ভাই ভারতে বসবাস করতেন এবং পর্যায়ক্রমে ভারতের দু’ভাই’ই মারা যান। ফলে হিন্দু আইন মতে বানী কান্ত ঢালীর দু’পুত্র ভারতে বসবাস করায় এবং দেশের নাগরিক না থাকায় ওই সম্পত্তির মালিক থাকেন একাই মনোরঞ্জন ঢালী।

সে মোতাবেক আরএস ৮১২ খতিয়ানে এসএ ৬৮২ দাগের আরএস ২১৪৬, ২১৪৭, ২১৪৮ ও ২৩৯৯ দাগে মোট ৪.৩৩ একর, এসএ ৬৪৪ দাগের আরএস ২১৮১ ও ২১৮২ দাগে মোট ২.৩১ একর এবং এসএ ৬৪৫ দাগের আরএস ২১৫৬ দাগে .৭০ একর সর্বমোট পৈত্রিক ৭.৪৭ একর সম্পত্তির মধ্যে ৭.৩৪ একর সম্পত্তি মুহিম ঢালির ওয়ারেশ অনুপাতে মনোরঞ্জনসহ তার শরিকদের নামে রেকর্ড হয়।

বাকী ১৩ শতক সম্পত্তি রাস্তা হওয়ায় খাস খতিয়ানে রেকর্ড হয়। কিন্তু, মনোরঞ্জনের অন্যান্য শরিকের লোকজন প্রায় দেশে না থাকায় এবং দূর্বল জনগোষ্টির লোক হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বুড়িয়া গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের হারুন শেখের নজর পড়ে ওই জমিতে। কাগজ পত্রের ফাক ফোক দিয়ে সাড়ে ৬৯ শতক জমি তার স্ত্রী আফিরোন্নেছার নামে বাংলা ১৪২২ সাল পর্যন্ত ধান্য চাষের শ্রেনী দেখিয়ে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সাথে যোগসাজসে ইং ০২ জুলাই’১৫এ তারিখে কসনা ডিসিআর নেয়।

জানতে পেরে মনোরঞ্জসহ তার পরিবার সজাগ দৃষ্টি রেখে অদ্যবদি পর্যন্ত ওই সম্পত্তি ভোগ দখলে থেকে মৎস্য করে আসছে। কিন্তু বিগত ৪/৫ বছর হারুন শেখ কোন ডিসিআর নিতে পারেনি। এরই মধ্যে হারুন শেখ একটি মহলের ইন্দনে পেশী শক্তির ভয় দেখিয়ে মনোরঞ্জনের পরিবারে লোকদের হুমকি ধামকি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা চালাতে থাকে। এতে মনোরঞ্জনসহ তার পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থানায় হারুন শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

সে মোতাবেক শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবিরের নির্দেশে আদিষ্ট হয়ে এসআই বেল্লাল হোসেন উভয় পক্ষকে কাগজপত্রান্তে আজ শুক্রবার থানায় শালিশে বসার মৌখিক নোটিস দেন। সে নির্দেশনাকে অজ্ঞা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত বুধবার হারুন শেখসহ তার বাহিনী নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের বাসা, বসার বেঞ্চ, ভাংচুর, নেট-পাটা তুলে ও বাঁধ কেটে তছনছ করে ৫০ সহস্রাধিক টাকার মাছ ও সম্পদ নষ্ট ও লুটপাট করেছে বলে মনোরঞ্জনের পরিবার জানায়।

এ ব্যাপারে মনোরঞ্জনসহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তারাসহ তার গোষ্টির লোকজন পুলিশ প্রশাসনের শক্ত হাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন