আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
আশাশুনিতে দূর্গাপুজায় ভূয়া মাষ্টাররোল দেখিয়ে আনছার ভিডিপি অফিস কর্তৃক মোটা অংকের অর্থ লুটে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিউটি করা আনছার দলের পিসি মাসুম বিল্লাহসহ আকাধিক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি শারদিয়া দূর্গোৎসব পালনে সরকার কর্তৃক আনছার নিয়োগে প্লাটন প্রতি একজন পিসি ও ৯ জন সাধারণ আনছার মোট ১০টি প্লাটনে ১০০ জন আনছার নিয়োগ দেয়া হয়।
এর মধ্যে পিসির জ্ঞাতসরে প্লাটন প্রতি ১ জন পিসি ও ৫ জন আনছার নিয়োগ দিয়ে ডিউটি করানো হয়েছিল। কিন্তু, এখন তাদের ডিউটির টাকা বন্টনের সময় অতিরিক্ত ডিউটি না করা প্লাটন প্রতি অজ্ঞাত ৪ জনের অর্থাৎ মোট ৪০ জনের নাম মাষ্টাররোলে রেখে, পাশ করিয়ে অফিস কর্তৃপক্ষ তাদের মোট অংকের টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করার পায়তারার চেষ্টা চলছে বলে তারা জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং ডিউটি করা প্রত্যেক পিসিসহ আনছারগন অফিসের টিআই খোদেজা খাতুনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সঠিক সদোউত্তর না দিয়ে ভূলভাল বকা শুরু করেছেন।
পিসিরাসহ অনেক আনছার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার, সরনাপন্ন হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে এবং স্থানীয় সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে আনছার ভিডিপি অফিস কর্তৃপক্ষ নতুন আঙ্গিকে বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা আনছার ভিডিপি অফিসার বর্তমানে জেলা অফিসারের ভারপ্রাপ্ত থাকা মেহরাব হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, রোববার পিসিসহ ৫৮ জনের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ, সোমবার বাকী না পাওয়া ৪২ জনের টাকা তাদের প্রমাদি দেখে স্ব-স্ব হাতে প্রদান করা হবে। তবে ডিউটি না করলেও তাদেরকে কেন টাকা প্রদান করা হবে ? তাদের নামে মাষ্টার রোলে স্বাক্ষর করল কে ? নামধারীরা অনেকে বিষয়টি জানেনা কেন ? এ সব প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিয়ে ‘জেগে ঘুমানোর’ ন্যয় তিনি আশাশুনি হাজির হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে সচেতন মহলসহ প্রকৃত ডিউটি করা আনছারগন সঠিক তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
s