আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে চিংড়ী ঘের জবর দখলের চেষ্টায় বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে স্বামী স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বৃহ:বার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের খাজরা গ্রামে। থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, খাজরা গ্রামের হাজী আব্দুল মোতালেব সরদারের পুত্র গোলাম মাওলা সরদার (৬২) খাজরা মৌজায় ৪ বিঘা জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য ঘের করে আসছিল। বেশ কিছুদিন যাবৎ একই গ্রামের জমিজমা দখলকারী, এলাকার ত্রাস, অত্যন্ত দুর্দান্ত, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির জামাল সরদারের পুত্র মিজানুর রহমান (৩৫) উক্ত চিংড়ী ঘেরেটি দখলের পায়তারা করে আসছিল।
এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গতকাল মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে মৃত ছহিল উদ্দীন সরদারের পুত্র শহিদুল ইসলাম সরদার (৩২), মৃত বেলায়েত সানার পুত্র হামিদ সানা (৫০), মিজানুর রহমানের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), মৃত ছহিল উদ্দীনের স্ত্রী সরবানু খাতুন (৫৫) দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোলাম মাওলা সরদারের চিংড়ী ঘেরের অন্যানয়ভাবে জবর দখল করার জন্য ভেড়িবাঁধ দিতে থাকে। এতে গোলাম মাওলা সরদার বাঁধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৪৫) ঠেকাতে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে জখম করা সহ পরনে থাকা কাপড় চোপড় ছিড়ে ছুটে বেয়াব্র“ করতঃ শ্লীলতাহানী ঘটায়। সে মাটিতে পড়ে গেলে ৪৫ হাজার টাকা মূলে ১২ আনা ওজনের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও ২৫ হাজার টাকা মূলে ৬ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।
এছাড়া ঘেরের ভেড়িবাঁধ কেটে, ঘুনি আটন, পাটা ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার মত ক্ষতিসাধন করে। আহত স্বামী স্ত্রী মারা গেছে ভেবে মারপিট করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে গেলে মাটিতে পড়ে থাকা আহত জখমী স্বামী স্ত্রীকে আশপার্শের লোকজন এসে উদ্ধার করে। আহত দুইজনে মধ্যে গোলাম মাওলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানাগেছে।