আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনি প্রতাপনগরে গৃহবধু অপহরনের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় মারপিটে স্বামী আহত হওয়ার ষড়যন্ত্রে নাটকীয় ঘটনা ফাঁস হয়েছে। গতকাল রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন।
এ ঘটনায় সরজমিন ঘুরে এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাগেছে প্রতাপনগর গ্রামের গোলজার গাজীর পুত্র সাহেব আলীর একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রীর সাথে কর্মসূচীর কাজ করার সুবাদে প্রথমে ভাব এরপর দেখা ও একটু কথা তারপর গড়ে ওঠে পরোকিয়া প্রেম সম্পর্ক। একপর্যায়ে এ প্রেমজয় করতে উভয় সকলের চোখ ফাকি দিয়ে প্রেম সাগর পাহাড়ী জমায়। এরপর তারা শরিয়াত অনুযায়ী রেজিষ্ট্রী বিবাহ করে ০৮ দিনের ঘরসংসার করে। এ সময় রবিউল তাহার স্ত্রীর খুজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
অপরদিকে সাহেব আলীর পরিবারের লোকজন তাহার খোঁজ খবর করতে দীর্ঘ ০৮ দিন অতিবাহীত করে। একপর্যায়ে তাদের সন্ধান পেয়ে রবিউল তার স্ত্রীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বাড়ীতে ফিরে এনে স্বামী বলে মানুষ মাত্রই ভ‚ল করে। সন্তান ও সংসারের দিকে তাকিয়ে সব কিছু ক্ষমা করে দিয়ে তোমাকে নিয়ে আবার নতুন ভাবে সংসার করব। কিন্তু তবে ২য় বার যেন এ ধরনের ভুল আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে স্ত্রী ০৮দিন পরে ফিরে আসলেও শরিয়াত অনুযায়ী ২য় বার বিবাহ না করে ঘরসংসার করছে কি না তা কেউ বলতে পারে না ও তারাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হইনি।
অপর দিকে প্রেমিক ০৮ দিনের স্বামী সাহেব আলী সাথে কথা হলে সে জানান বাগেরহাটে এক রেজিষ্ট্রীরের বাড়ীতে আমাদের শরিয়াত অনুযায়ী বিবাহ হয়। এরপর আমরা ঘর সংসার শুরু করি। সংসার চলাকালিন ০৮ দিনের মাথায় মেয়ের পিতা বিবাহের এ রেজিষ্ট্রী করা কাবিন নামা দেখতে চাহিলে জামাই সাহেব আলী কাগজ হস্তান্তর করা মাত্রই কাবিননামা না এ গুষ্টির খেতা বালিস বলে ছিড়ে ফেলে ছুটে ফেলে দেয় ও হুমকি দিয়ে বলে তোর মজা দেখাচ্ছি।
একপর্যায়ে মেয়ের পিতা ও প্রথম স্বামী সহ স্থানীয় কিছু লোকজন সাহেব আলীকে ফাঁসাতে রবিউলকে বাদী করে ষড়যন্ত্র মূলক আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর সাংবাদিককে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করে, রাতের আধারে বাড়ীতে নারী লোভী লম্পট সাহেব আলী রবিউলের বাড়ীতে ঢুকে তার স্ত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে এ সময় তার স্ত্রীর ডাকচিৎকারে স্বামী বাধা দেওয়ায় মারপিটে আহত হয়েছে। অথচ স্বামী রবিউল ইসলামের আহত হওয়ার কোন চিহ্ন দেখা যাইনি।
দিব্য সুস্থ্য শরীরে এলাকায় মুদির দোকানদারী করে যাচ্ছে। অথচ সে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলা হয়। অথচ রবিউল ও তার শ^শুরের কথামত তাদের লোকজন সাহেব আলীকে বাড়ী ডেকে আনে এ সমস্যা সামাধান করা কথা বলে এরপর নির্জন স্থানে এনে তাকে বেপরোয়া মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে খুলনার কয়রার জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ঘটনার একদিন পর সাহেব আলীর বিরুদ্ধে সাজানো ষড়যন্ত্র মূলক নাটকীয় থানায় মিথ্যা অভিযোগের ষড়যন্ত্রের ঘটনা ফাঁস হয়। ভবিষ্যতে কোন সম্মানিও ব্যক্তিকে এ ভাবে কেউ যাতে অসম্মান না করে ও এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি এ ধরনের ঘটনা পুনরায় জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।