আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনির পুইজালায় পূর্ব শত্রুতা নিয়ে বড়ভাইসহ তার লোকজনের বেপরোয়া মারপিটে বৃদ্ধামা, ছোটভাই ,স্ত্রী ও শিশুপুত্রসহ একই পরিবারের ৫ জন জখম হয়েছে। জখমিদের মধ্যে মা ও ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুইজালা গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে পুইজালা গ্রামের মৃত গফুর হালদার এর পুত্র মফিজুল ইসলামের সাথে তার আপন ভ্রাতা হাবিবুর রহমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা সৃষ্টি করে হয়রানি ও ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কয়েকদিন আগে হাতাহাতি হয়।
এ বিষয় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার জন্য বললে বিবাদী ভাই মফিজুল ইসলাম থানায় হাজির হলেও অভিযোগের বাদী তার ভাই হাবিবুর রহমান থানায় হাজির হয়নি। ফলে বিবাদীকে পুলিশ বাড়ীতে যেতে বললে সে বাড়ীতে ফিরে আসে।
পথি মধ্যে তার ভাই হাবিবুর রহমানের সাথে দেখা হলে মফিজুল বলে ভাই এভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কত মিথ্যা অভিযোগ করবি এ কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায় লাঠিসোটা,লোহার রড নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুইজালা গ্রামের মেছের আলীর পুত্র রেজাউল করিমের নির্দেশে এলাকার ত্রাশ,শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী বড়ভাই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার পুত্র মামুনুর রহমান মৃত মোস্তফার পুত্র ফারুক হোসেনসহ তাদের লোকজন ছোটভাই মফিজুল ইসলামের মারপিটের জন্য ধাওয়া কররে সে প্রাণ রক্ষায় দৌড়াইয়ে পালানোর চেষ্টাকালে পার্শ্ববর্তী জনৈক নজরুল সানার মৎস্য ঘেরের মধ্যে পড়ে গেলে তাকে এলাপাতাড়ীভাবে পেড়াতে ও কোপাতে থাকে সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তার বৃদ্ধ মাতা জহুরা খাতুন (৭০), স্ত্রী হোসনে আরা খাতুন (৩০) ও বড় পুত্র জালাল হোসেন দ্রত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ নিষ্ঠুর বর্বরতা থেকে রেহাই পাইনি তার দেড় বছরের শিশু পুত্র মাহিম হোসেন। এ সময় মারপিট-কারীরা মফিজুলের পকেটে থাকা ২হাজার ৭শত টাকা কেড়ে নেওয়াসহ জখমীদের জামাকাপড় ছিড়েছুটে ২হাজার টাকা ক্ষতি করে। এরপর হামলাকারীরা মফিজুলের বসত বাড়ীতে ঢুকে সংসারের প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র ও ঘরের জানালা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। পার্শ্ববর্তী লোকজন জখমীদের উদ্ধার করে আশা-শুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে বৃদ্ধামাতা জোহরা খাতুন ও ছোটভাই মফিজুলের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছে।