হোম এক্সক্লুসিভ আমেরিকায় কয়জন মানুষ যায়, প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর

জাতীয় ডেস্ক:

১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। আমেরিকায় কয়জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কী করবে। রাজধানীর গুলশান-বনানীতে থাকা বড় লোকের ছেলেমেয়েরা আমেরিকায় যায়। তারা না যেতে পারলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী না যেতে পারলেও দেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (০৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলা রেঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন এবং বন উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে এবং তা পৃথিবীর মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি বিভিন্ন রকম আন্দোলন কর্মসূচি করছে, নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো আবারও সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস ও তাণ্ডব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে তাদের এ অপচেষ্টাকে মোকবেলা করছে। একইসঙ্গে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবেলা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য কোনো বিদেশি শক্তি বা দেশ যদি চেষ্টা করে তা মোকাবিলা করার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতাসহ সকল শক্তি বাংলাদেশের রয়েছে। দেশের জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণকে নিয়েই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করব।

মার্কিন ভিসা নীতি প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ। আমেরিকায় কয়জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি করবে। রাজধানীর গুলশান-বনানীতে থাকা বড় লোকের ছেলেমেয়েরা আমেরিকায় যায়। তারা না যেতে পারলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী না যেতে পারলেও দেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেন, আমরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। ভিসা নিয়ে আমরা আমেরিকা যেতে পারব না-এটি কোনো বিষয় না।

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা অর্থনৈতিক, সামরিকভাবে শক্তিশালী বড় দেশ। তাদের বিভিন্ন হুমকি, নিষেধাজ্ঞা প্রভৃতি শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অন্য অনেক দেশকেও মোকাবিলা করতে হয়। অর্থনৈতিকভাবে যদি আমে‌রিকা স্যাংশন দেয়, আমরাও দেখবো কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনেক দেশ আমাদের সাথে আছে। কাজেই, স্যাংশন দিয়ে আমাদেরকে নিবৃত্ত করা যাবে না।

মধুপুরের বন দেশের জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি টাঙ্গাইলের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বন রক্ষা করা খুবই কঠিন। নানা কারণে বনের অনেকটা ধ্বংস হয়েছে। মধুপুরের বন রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যারা বন কাটত, তাদেরকে আমরা বন রক্ষার জন্য ভলান্টিয়ার করেছি। ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মো. নিশাদের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইয়াকুব আলী, পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন