হোম ফিচার আমি মেয়েটার জন্য জীবনও দিতে পারি: জনি

বিনোদন ডেস্ক :

কথায় আছে অনুভূতির অনেক রঙ। তার মধ্যে একটি বর্ণ হয়ত সব সময় বদলাতে থাকে। যেটি কখনো ধূসর, কখনো বিষাদের গাঢ় নীল। মনের গহীন কোণে বহু বছর পরও যে বর্ণ অমলিন থেকে যায় তাকেই হয়ত বলে ভালোবাসা।

হলিউডের জনপ্রিয় তারকা জনি ডেপ। কোটি নারীর ভালোবাসার মানুষ যিনি, তার ভালোবাসার মানুষ কিন্তু একজনই। অন্তত একটা বিশাল সময় জুড়ে একজনকেই ভালোবেসেছিলেন তিনি। অনেকেই হয়ত তার সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ডের কথা ভাবলেও জনির প্রথম প্রেম ছিলেন উইনোনা রাইডার। যাকে জীবনের সবটুকু আবেগ দিয়ে আগলে রেখেছিলেন জনি। যার চিহ্ন আজও বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন জনি।

৯০ দশকে প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েন জনি ও রাইডার। প্রেমের মাসখানেকের মাথায় সম্পর্ককে আংটি বদলের খাতায় যুক্ত করেন। লুকোচুরি না করে প্রকাশ্যেই একে অপরকে বাহুডোরে আবদ্ধ করে কাটিয়েছেন ৪টি বছর। মাত্র ১৭ বছর বয়সে কোনও পুরুষের প্রেমে পড়া রাইডার তখন সপ্তম আকাশে। ‘আমার প্রথম ভালোবাসা, চুম্বন, আবেগ সবকিছুই জনি। জানিনা কখনো আর কারও সাথে আমার অনুভূতি হবে কিনা, জনি সব সময় আমার হৃদয়ে জায়গা নিয়ে থাকবেন’ বলেছিলেন রাইডার।

শরীরে ‘উইনোনা ফরেভার’ ট্যাটু করেন জনি। ভালোবাসায় বুঁদ হয়ে থাকা জনি তখন প্রাণ দিতেও রাজি রাইডারের জন্য। পুরানো এক সাক্ষাতকারে জনি বলেন, ‘আমি তাকে ছাড়া বাঁচব না। ও যখন অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায় আমার মনে হয় কিছু একটা করে যদি ওর এই দুঃখ দূর করে দিতে পারতাম। আমি মেয়েটাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।’

১৯৯৩ সালে এঙ্গেজমেন্ট ভেঙে দেন জনি-রাইডার। খোলাসা করে কারণ কখনো না বললেও কিছুটা মিডিয়াকেই দায়ী করেছিলেন জনি। তার মধ্যে তাদের সম্পর্ক খুব বেশিই খোলামেলা ছিল যার ওপর মিডিয়ার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্রেকআপের পর ভেঙে পড়েন রাইডার। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তবে তাদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসেবে নিজের কম বয়স আর অপরিপক্বতাকেই দায়ী করেছেন রাইডার।

বিশ্বজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া জনি ডেপ ও তার সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ডের মামলায় নাম আসে রাইডারেরও। জনির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে একই সঙ্গে অবাক ও দুঃখিত হন রাইডার। ডেপের পক্ষে ২০২০ সালে সাক্ষ্য দেন সাবেক প্রেমিকা রাইডার।

সূত্র: ইউএস উইকলি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন