জাতীয় ডেস্ক :
যশোরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে সমন্বিত প্রবীণ ও শিশু নিবাস ‘আমাদের বাড়ি’। সুবিধা বঞ্চিত বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের মনোরম পরিবেশে জীবনযাপনের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও।
যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাটুয়াপাড়ায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সমন্বিত প্রবীণ ও শিশু নিবাস ‘আমাদের বাড়ি’।
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে এক একর ৫ শতক জমির ওপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানটিতে চারতলা ভবনে ১২০ জন বসবাস করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বসবাসকারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সকল সেবা। প্রবীণ ও শিশুদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ব্যায়াম, স্বাস্থ্যসেবাসহ সবকিছু বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ধান-সবজি চাষের পাশাপাশি মাছের খামার, হাঁস-মুরগি ও গরুর খামারও রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, এখানে প্রবীণরা যেমন স্বস্তি পাবেন তেমনি শিশুরাও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরতে পারবে।
জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ বলেন, ‘প্রবীণ ও শিশুরা এখানে থাকবে, খাবে। একদম পরিপূর্ণভাবে তারা নিজেদের গড়ার সুন্দর একটা পরিবেশ পাবে।’
সমন্বিত প্রবীণ ও শিশু নিবাস ‘আমাদের বাড়ি’ এর সহকারী ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখানে আধুনিক জিমনেশিয়াম আছে, নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আছে। সবমিলিয়ে এটি একটি পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।’
সরকারি তত্ত্বাবধানে বেসরকারি পরিচালনা কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবে। ইতোমধ্যে এখানে আশপাশের শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার মূল দায়িত্বে থাকবে উদ্যোক্তা সংস্থা জিএমএস ফাউন্ডেশন। তবে এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি থাকবে। বিশেষ করে সমাজসেবা অধিদফতর তাদের কার্যক্রম মনিটর করবে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রায় সাড়ে বিশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রতিষ্ঠানে সরকারের অংশীদারিত্ব ৮০ শতাংশ। আবাসনের ৩০ শতাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং বাকি ৭০ শতাংশ নির্ধারিত অর্থের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
‘আমাদের বাড়ি’ সরকারি তত্ত্বাবধানে নির্মাণ হলেও পরিচালিত হবে বেসরকারি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।