ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :
ঝিকরগাছায় ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের উৎসব। আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে উপজেলার গ্রামে গ্রামে। মাঠের সোনালী আমন ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকেরা। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, চলতি বছর আমন চাষে প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়েছে উপজেলার কৃষকদের।
কিন্ত বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তারা। কথা বলার মতো ফুরসত নেই তাদের। ঝিকরগাছা উপজেলায় নায়ড়া,রাজবাড়ীয়া,হরিদ্রাপোতা, মাটিকোমরা ও খাটবাড়ীয়া গ্রামে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে ।
ধান কেটে অনেক কৃষকই আঁটি বেঁধে কাঁধে করে, আবার অনেকেই বিভিন্ন যানবাহনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাসা-বাড়ির উঠানে চলছে আগাম জাতের ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা তেমনি আনন্দও প্রচুর। অনেকের বাড়িতে চলছে শীতের সকালে ভাঁপা পুলি, তেল পিঠা, নতুন চালের পায়েস ও নাড়ু মুড়ির মুখরোচক খাবার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে উপজেলায় বেশিরভাগ জমিতে রোপা আমনের চাষ করা হয়। মোট আবাদের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধি ব্রি-ধান। অপরদিকে, কয়েক দফার বন্যা এবং অতিবৃষ্টির কারণে নিম্মাঞ্চলের অনেক জমির ধান তিগ্রস্ত হয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ধান ও বিছলীর দাম খুবই ভাল। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ঠিকমত সার কীটনাশক পাওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ।