হোম জাতীয় আমদানির অনুমতি ‘চায়না ক্লে’, এলো ভারতীয় শাড়ি-থ্রি পিস, শাল চাদর

জাতীয় ডেস্ক:

‘চায়না ক্লে’ বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসে অন্য পণ্য। এরপর বাংলাদেশি ট্রাকে ভর্তি করে রওনা দেয় গন্তব্যের উদ্দেশে। স্থলবন্দর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর সড়কে ট্রাকটি আটকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এরপর তল্লাশি করে ট্রাক থেকে ২০০ বস্তা চায়না ক্লের নিচ থেকে ভারতীয় ২৭০ পিস শাড়ি, ৯১০ পিস থ্রি পিস এবং ১৭০০ পিস শাল চাদর উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে এসব পণ্য জব্দ করে বিজিবি ৫৯ (রহনপুর) ব্যাটালিয়ন। বুধবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি।

বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, জব্দ হওয়া শাড়ি, থ্রি পিস ও চাদরের বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি। চায়না ক্লে বলে এগুলো কাস্টমসের ছাড়পত্র করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চায়না ছাড়াও সেই ট্রাকে অন্য পণ্য থাকতে পারে। পরে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে এসব অবৈধ চোরাচালান করা ভারতীয় কাপড় জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন, কাস্টমস ও পুলিশের উপস্থিতিতে তা ট্রাক থেকে নামানো হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেছে চালক। জব্দকৃত কাপড়গুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

এবিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী জানান, অবৈধভাবে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব কাপড় আমদানি করায় আমদানিকারক মেসার্স মুকুল ট্রেডার্সের মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে স্থলবন্দর কাস্টমস।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন