অনলাইন ডেস্ক :
কিছুতেই বায়ুদূষণের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে না ঢাকা। আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকার নাম।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩৩৫ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় ছিল।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও আফগানিস্তানের কাবুল যথাক্রমে ৩০২, ২১৩ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে পরবর্তী তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয় যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
এ অবস্থায় বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
এর আগে গত মাসের ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি টানা পাঁচ দিন বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় স্থান করে নেয় বাংলাদেশের রাজধানী।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।