খেলাধুলা ডেস্ক :
আফগানিস্তানে টালমাটাল পরিস্থিতিতে নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তিত ইংল্যান্ডে অবস্থানরত রশিদ খান। দেশটি থেকে নিজের পরিবারকে বেরও করে আনতে পারছেন না তিনি। যে কারণে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলতে থাকলেও শঙ্কায়-উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে এই লেগ স্পিনারের। সোমবার (১৬ আগস্ট) স্কাই স্পোর্টসকে এ তথ্য জানিয়েছেন ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন।
দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে সোমবার রশিদ খানের দল ট্রেন্ট রকস ৭ উইকেটে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার অরিজিনালকে। ম্যাচে রশিদ ট্রেন্ট রকসের হয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। জয় শেষে তাকে উদযাপনও করতে দেখা যায়নি। তিনি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত।
স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে পিটারসেন বলেন, ম্যাচ চলাকালীন ও ম্যাচ শেষে রশিদ খানের সঙ্গে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। সে তার দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুবই ঘোরের মধ্য আছে। না পারছে সে দেশে যেতে, না পারছে নিজের পরিবারকে সেখান থেকে বের করে আনতে। এই কারণেই সে ম্যানচেস্টার অরিজিনালের বিপক্ষে জয়ের পর তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর দিন দুয়েক আগে এক টুইটে রশিদ খান দাবি করেন, তার দেশ এখন বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে তিনি আকুতি জানান, যেন আফগানিস্তানের লোকদের আর মারা না হয়।
নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে রশিদ খান বলেন, প্রিয় রাষ্ট্রনেতারা, আমার দেশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। শিশু এবং নারীসহ হাজার হাজার নির্দোষ মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। ঘর-বাড়ি ধ্বংস হচ্ছে। হাজার হাজার পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমাদের ছেড়ে যাবেন না। আফগানদের হত্যা করা বন্ধ হোক, আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা বন্ধ হোক। আমরা শান্তি চাই। পরে আরেক পোস্টে রশিদ আফগানদের সহযোগিতার জন্য অর্থ সাহায্য চান। ফান্ড গঠন করে তিনি সমস্যায় থাকা লোকদের দুয়ারে দুয়ারে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতে চান বলেও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আগফানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ বছরের কার্যক্রম শেষে এখন সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। ১ মে থেকে শুরু হয়েছে এ প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই একের পর এক জঙ্গি আক্রমণ শুরু হয়। এখন দেশটির ক্ষমতাই তালেবানদের দখলে।