হোম আন্তর্জাতিক আফগান নারীদের মেডিক্যাল শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

আফগান নারীদের মেডিক্যাল শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 10 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানে নারীদের মেডিক্যাল শিক্ষায় তালেবানের জারি করা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) উত্থাপিত এক প্রস্তাবে বলা হয়, তাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ভবিষ্যতে লাখো নারী ও কন্যাশিশুর স্বাস্থ্যসেবা সংকটে পড়তে পারে। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

তালেবানের শাসনে নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তীব্র সমালোচনা করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদ বলেছে, মেয়েদের জন্য আফগানিস্তানে ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে শিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুযোগ, জনজীবনে অংশগ্রহণ, স্বাধীনভাবে চলাচল ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।

মেডিক্যাল কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য তালেবানের নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে আগে নিশ্চিত করা হয়নি। অথচ দেশটিতে নারী ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই কেবল নারীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন।

শুক্রবার উত্থাপিত অন্য এক প্রস্তাবে আগস্টে জারিকৃত তালেবানের ‘পাপ ও পুণ্য’ (ভাইস অ্যান্ড ভার্চু) নীতিমালারও সমালোচনা করেছে পরিষদ। এই নীতিমালার মাধ্যমে নারীদের অধিকারের ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনসমক্ষে নারীদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়, সেভাবে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা।

ওই প্রস্তাবে তালেবানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞ দলের মেয়াদ আরও ১৪ মাস বাড়ানো হয়েছে।

২০২১ সালে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর দেশটির ক্ষমতা দখল করে তালেবান। কোনও দেশ এখন পর্যন্ত তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

জাতিসংঘ বলেছে, নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাইরে যাওয়ার নিয়ম বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

জাতিসংঘে আফগানিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি রোজা ওতুনবায়েভা বলেছেন, নারী ও কন্যাশিশুরা জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে নারীদের উচ্চশিক্ষা ও মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণার মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে মেয়েদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি পুরুষ, ছেলে শিশু, পুরো সম্প্রদায়, এমনকি দেশের জন্যও তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

ওতুনবায়েভা আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আমি তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন