হোম আন্তর্জাতিক আত্মহত্যার আগে পরিচয় জানিয়ে গেলো সিরিয়াল কিলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বিগত কয়েক দশক ধরে ভয়ঙ্কর এক সিরিয়াল কিলারকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল ফ্রান্স পুলিশ।

অবশেষে খুনি নিজেই ফাঁস করলেন নিজের পরিচয়। দেশটির সাবেক সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা আত্মহত্যার আগে স্বীকার করেছেন তিনিই ছিলেন সেই ভয়ঙ্কর খুনি।

মানুষ খুন করাই সিরিয়াল কিলারদের নেশা। ঠাণ্ডা মাথায় একের পর এক প্রাণ কেড়ে নেন এই খুনিরা। এদের নৃশংসতার কথা শুনলেই আতঙ্ক জাগে। তেমনই এক খুনির নাম ফ্রান্সোয়া ভেরোভে। সিরিয়াল কিলার হিসেবে ‘লা গ্রেলে’ নামে ফ্রান্সজুড়ে পরিচিতি পান তিনি।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ভেরোভে। এ সময় অন্তত ৪ টি খুন করে সে। এছাড়াও অসংখ্য অমীমাংসিত ক্রাইম সিনে তার ডিএনএ পেয়েছিল ফ্রান্সের পুলিশ। তবে এসব অপরাধের কোনো কিনারা করা যায়নি সেসময়। পুলিশের হাত থেকে সে পালিয়ে থাকে ৩৫ বছর।

তার প্রথম শিকার ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী। স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। এরপর তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে। এরপরই যেন খুনের নেশা পেয়ে বসে ফ্রান্সোয়াকে। পরবর্তী কয়েক বছরে তার হাতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ।

দীর্ঘদিন রহস্যে ঢেকে থাকা ঘটনার অবসান ঘটে এক তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৫ বছর আগে প্যারিসে দায়িত্বরত ৭শ ৫০ জন সামরিক পুলিশের কাছে চিঠি পাঠানোর পর। যার মধ্যে ফ্রান্সোয়াও ছিল। চিঠিতে সবাইকে পাঁচ দিন পর ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হয়।

চিঠি পাবার কয়েকদিন পর নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় ফ্রান্সোয়া ভেরোভের মরদেহ। সঙ্গে মেলে একটি সুইসাইড নোট। যদিও সেই সুইসাইড নোটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তবে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নোটে নিজের সব অপরাধ স্বীকার করেছে ভেরোভে। পুলিশ বলছে, তার ডিএনএ কয়েকটি অপরাধস্থলে পাওয়া প্রমাণের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন