খুলনা অফিস :
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে উৎসবমূখর নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। সোমবার সকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পৌর সদরস্থ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডঃ এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তারা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করো একটি প্রহসন মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চাই।
সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগনেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। হামলায় ইতোমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার মাইক ভাংচুর করছে। সম্ভাব্য এজেন্টদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। যা নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি’র এ নেতা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসক ও সিভিল প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নির্বাচনী পরিবেশ সঠিক পথে পরিচালিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সরকারি সম্পদ কোনটিই নিরাপদ নয়। এরা গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংস করেছে। এ জন্য আওয়ামী লীগের অধিনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না, প্রার্থী এজেন্ট দিতে পারবে না, এটি কোন নির্বাচন নয়। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, স্থানীয় সরকার এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হারলে সরকার পতন হবে না। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাতে জনগণের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি বাড়বে। জনগণের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র এ নেতা বলেন, সাহস করে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে।
আপনাদের একটি ভোট সু-শাসন ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। তিনি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, চোখবুজে না থেকে আনিত অভিযোগে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিন। উৎসবমূখর নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করুন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ডাঃ আব্দুল মজিদ সহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, এ্যাডঃ জিএ সবুর, কয়রা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডঃ মোমরেজুল ইলসলাম, দিঘলিয়ার সভাপতি মোল্লা সাইফুর রহমান মিন্টু, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, মহানগর বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাফেজ আবুল বাশার, শামছুল বারিক পান্না, এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার, আনন্দ মন্ডল, এসএম এমদাদুল হক, মিজান জোয়াদ্দার, শাহিনুল ইসলাম পাখি, শরিফুল ইসলাম বাবু, এসএম শরিফুল ইসলাম, মেজবাহুল আলম পিন্টু, রাজিবুল আলম বাপ্পি, মাহিম আহম্মেদ রুবেল, মনিরুজ্জামান লেলিন, এনামুল হক সজল, হাবিবুর রহমান, জাবির আলী, এ্যাডঃ এসকেন্দার আলী, খালিদ হোসেন, ইসরাইল বাবু, ইসমাইল, তুষার কান্তি মন্ডল ও আবুল হোসেন সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।