খেলাধূলা ডেস্ক :
রাজস্থানের বিপক্ষে দিল্লির শেষ ওভারে জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৬। সমীকরণটা তখন এমন যে, বলে বলেই ছক্কা হাঁকাতে হবে। ব্যাটিং প্রান্তে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের রভম্যান পাওয়েল প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন। যদিও নো বল বিতর্কে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হেরে যায় দিল্লি। তবে সবশেষ ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে আর ভুল হলো না। সহজ ম্যাচ এক সময় দিল্লির জন্য কঠিন হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবীয় এ ব্যাটার।
যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের বলা হয় টি-টোয়েন্টির অ্যাম্বাসেডর, সেই তারাই এবারের আইপিএলে নিস্প্রভ। কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল কিংবা সুনিল নারীনরা ফর্মে নেই। তবে তাদের মধ্যেও ব্যতিক্রম আছেন একজন। যিনি ঠিকই নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা রভম্যান পাওয়েলের কথাই বলা হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই দলের জন্য কোনো না কোনোভাবে অবদান রাখছেন তিনি।
চলতি আইপিএলে দ্যুতি ছড়ানো পাওয়েলের ক্রিকেটার হওয়াটা কিন্তু এত সহজ ছিল না। শৈশব থেকেই অসম্ভব দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে মানুষ হয়েছেন। স্বপ্ন ছিল ক্রিকেট খেলা। সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে রভম্যান পাওয়েলের গল্প শুনিয়েছেন তারই স্বদেশি ক্রিকেট কিংবদন্তি ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ।
তিনি বলেন, ‘যদি কারও কাছে ১০ মিনিট সময় থাকে, তাহলে ইউটিউবে গিয়ে রভম্যান পাওয়েলের জীবন নিয়ে তৈরি ভিডিওটা দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন অসংখ্য মানুষের মতো আমিও কেন ওর আইপিএলে সুযোগ পাওয়ায় এতটা খুশি। খুব ছোট জায়গা থেকে উঠে এসেছে ও। স্কুলে পড়ার সময়ই মাকে কথা দিয়েছিল যে একদিন পরিবারের দারিদ্র্য দূর করবে সে। সেটাই করেছে সে। নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে পেরেছে।’
বিশপের মতে, ‘পাওয়েলের যে খেলা এখন দেখা যাচ্ছে, তা নেহাতই সামান্য। তার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে আদিল রশিদ এবং মঈন আলিকে পিটিয়ে তার শতরানের কথা আমার মাথায় এখনো ঘোরে।’
‘ভারতেও গত ফেব্রুয়ারিতে স্পিনারদের বিপক্ষে পাওয়েলের পারফরম্যান্স ইম্প্রেসিভ ছিল। পেস বোলিং খেলার ব্যাপারে নিজেকে আগের থেকে অনেক উন্নত করেছে সে। মানসিকতাও অসাধারণ।’