হোম অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যত সিদ্ধান্ত

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যত সিদ্ধান্ত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 13 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান। রবিবার (২ মার্চ) এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটিরও বৈঠক হয়েছে। যেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) নেতৃত্বে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ফয়সল হাসান জানান, চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরাকারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারা দেশে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান এবং অন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিয়মিত গণমাধ্যমকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি, চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবি’র সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেটেড এলাকাগুলোতে অপারেশন পরিচালনা করছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত প্যাট্রোলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত করা হয়েছে।

ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা শহরের আশপাশে বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। ডিএমপি’র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল কেনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়।

মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভোরে ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দেশের সব প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন নিরপরাধ ব্যক্তিরা।

ফয়সল হাসান আরও জানান, জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের মামলাগুলো নিয়মিতভাবে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন