স্পোর্টস ডেস্ক:
গত ভারত বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের। তাতে তিনি ডাক পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজে।
বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন সৈকত। প্রথম কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব ছাড়াও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি।
সে সব ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়েছেন তিনি। যার কারণে তার সামনে এবার সুযোগ এসেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারিং করার। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এ সিরিজে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডের পাশাপাশি থাকবে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুদলের মাঠের লড়াই শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
সৈকতের অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ মিঠু দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সৈকত আমাদের হয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিল। সে সেখানে খুব ভালো করেছে। ফলে আইসিসিরও নজর পড়েছে তার ওপর। এখন সৈকত অনেক জায়গাতেই ডাক পাবে। কারণ যেহেতু করোনা নেই আর নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম ফিরে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের জন্য যাচ্ছে সৈকত।’
৪৭ বছর বয়সী সৈকত বর্তমানে আইসিসির আম্পায়ারদের ইমার্জিং প্যানেলের সদস্য। তবে তিনি যেভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন তাতে দ্রুতই তিনি এলিট প্যানেলে প্রবেশ করবেন বলে আশাবাদী মিঠু।
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন তো ইমার্জিং আম্পায়ারদের মধ্যে সে খুব ভালো করছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব বেশি সময় লাগবে না। কারণ এখন তো ১২ জন আছে। কেউ অবসরে গেলে সৈকত এই তালিকায় ঢুকে যাবে আশা করছি। আমি শুনেছি সৈকত ইমার্জিং আম্পায়ারদের মধ্যে অনেকখানি এগিয়ে আছে। আশা করছি দ্রুতই ও বাংলাদেশকে আরও বড় পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এটা দেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে।’
২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে অভিষেক হওয়া সৈকত পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ইতোমধ্যে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি গড়েছেন। এছাড়া আইসিসির নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।