রাজনীতি ডেস্ক:
অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর দুই মাস ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়, সেই দিনের অপেক্ষা করতে থাকেন। এই মাস তো শেষ হয়ে গেলো। সামনের মাসে আলামত দেখবেন। পরের মাসের মধ্যে আমরা সরকারকে আমাদের চূড়ান্ত বার্তা দিতে পারবো।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় মান্না এসব কথা বলেন। সাংবাদিক শফিক রেহমান ও প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায়ের প্রতিবাদে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে এই সভা হয়।
মান্না বলেন, এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সামনে যারা দাঁড়িয়েছে চামচা, যাদের দিয়ে আওয়ামী লীগ মাঝে-মধ্যে শান্তি সমাবেশ করে। এরা থাকছে না। এদের পতন হবেই। এটা সময়ের ব্যাপার, অনেক বেশি সময় নেই, অল্প সময়ের মধ্যে। আমরা বলেছি, আমরা সব হিসাব করেই ধরব। যে রকম মাছকে ছাই দিয়ে ধরে- ওইরকম করে ধরব। সরকার নড়াচড়া করতে পারবে না, চলে যেতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের এই সভাপতি বলেন, এই সরকার ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে এখন উল্টা-পাল্টা বকছে। কী রকম দেখেন? বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন- কেউ কথা বলছে না। অন্য জায়গায় যায়- কেউ কথা বলে না। দেশের মধ্যে কোনো লোকজন নেই, বিদেশেও কোনো বন্ধু নেই। আমেরিকা নেই, অস্ট্রেলিয়া নেই, কানাডা নেই, জাপান নেই, ইউরোপিয়ানরা নেই, যারা উন্নত দেশ পশ্চিমা দেশ তারাও নেই।
এই সরকারকে ‘চোরদের সরকার, ডাকাতের সরকার, লুটেরাদের সরকার’ হিসেবে অভিহিত করে এই অপকর্মের হিসাব একদিন জনগণের কাছে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, এক রাতের মধ্যে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। মানে কি ভাই? নিজেরা নিজেরা পটল তুললেন, নিজেরা নিজেরা হার্টফেল করে মারা যাবেন। বিএনপি এসে গেছে, তাতে হার্টফেল করবেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব ব্যাখ্যা দেবেন- কী বুঝাতে চেয়েছেন। বিএনপির যত নেতা আছেন তারা বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তারা প্রতিশোধের রাজনীতি করবেন না। প্রতিশোধের রাজনীতি না করলে আপনারা (ওবায়দুল কাদের) ভয় পান কেন? আসল কথা হলো-পাপ যে করে তার মনের মধ্যে ভয় থাকে। যতই ধান্ধা করুক, যতই চাপা মারুক- সে জানে যে, আমি যে পাপ করেছি, অন্যায় করেছি, সবার উপরে আল্লাহ আছেন- তিনি তো দেখেছেন। অতএব তার মধ্যে ভয় আছে, গ্রেফতারের ভয় আছে। সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।