বিদায়ের পথে চৈত্র। কয়েক দিন ধরে চৈত্র তার প্রখরতা দেখিয়ে চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। চৈত্রের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবনে সারা দেশের মানুষ চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বৃষ্টির। সেই অপেক্ষার প্রহর বুঝি শেষ হতে চলেছে। আবহাওয়া অধিদফতর তেমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে।
বুধবার (১২ এপ্রলি) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সপ্তাহ গড়িয়ে আগামী রোববার বৃষ্টি নামতে পারে। তবে, তার আগ পর্যন্ত গরমের যন্ত্রণা সইতেই হবে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরেই এই জেলায় থার্মোমিটারে পারদ চড়ছে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি। তবে, আগামী ১৬ তারিখের দিকে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকেই। গেল ক’বছরেও তাপপ্রবাহ বিরাজ করেছে। এ সময়ে দখিনা বাতাস নেই, বাতাসে আর্দ্রতা কম, মানে জলীয় বাষ্পও তেমন নেই। যার কারণে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং গরমও বেশ অসহনীয় হচ্ছে।’
এদিকে, দেশের ৪৯টি জেলার ওপর দিয়ে বিরাজমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কৃষি ও মাঠ ফসলের সুরক্ষায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
ওমর ফারুক বলেন, তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে শেষের দিকে। ২৪ এপ্রিল থেকে ভারি বর্ষণের আভাস রয়েছে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের ফলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।