হোম ফিচার ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমা নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের প্রশ্ন

বিনোদন ডেস্ক :

মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের এক মরণকামড়। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক এ ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার মহরত হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু নানা কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ আর এগোয়নি কাজটি নিয়ে। এরপর এগিয়ে আসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কমিটি করে মূল্যায়ন করা হয় মনপুরাসহ বেশকিছু ব্যবসা সফল সিনেমার নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের স্ক্রিপ্ট।

সময় সংবাদকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্মাতা সেলিম বলেন, মোরশেদুল ইসলামের মতো ফিল্মমেকার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিম- এ তিনকে স্ক্রিপ্ট মূল্যায়ন কমিটিতে রাখল। আমি যেহেতু স্ক্রিপ্ট লিখেছি তাই আমাকেও রাখল কারণ, কমিটির গুরুত্বপূর্ণ মতামত যেন আমি স্ক্রিপ্টে যুক্ত করতে পারি। এক-দেড় বছর ধরে মূল্যায়ন করে স্ক্রিপ্ট ওকে করল। তারপর টেন্ডার ডাকল, আমি এতে অংশ নিলাম। এখন বলছে, আমি অংশ নিতে পারব না। এটা বিধিবর্হিভূত।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের স্ক্রিপ্ট মূল্যায়নের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘আমার জানা নেই। উনার কোন স্ক্রিপ্ট মূল্যায়ন করেছে, কবে করেছে। ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে অনেকেই স্ক্রিপ্ট করতে পারেন, নিজেরা মূল্যায়ন করতে পারে। কিন্তু তার সাথে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়নের কোনো সম্পর্ক নাই।’

মূল্যায়ন করার পরও কেন বাদ দেয়া হলো তার স্ক্রিপ্ট? এমন প্রশ্নও তুলেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার ভাষায়, টেন্ডার করে যে সমস্ত স্ক্রিপ্ট চেয়েছেন তার মূল্যায়ন কমিটিতে তো আমি নাই, বাছাই কমিটিতে তো আমি নাই। আমার স্ক্রিপ্ট মূল্যায়ন হয়েছে, সেটা আপনারা কেন করেছেন? কী জন্য করেছেন? এখন আবার সে স্ক্রিপ্ট বাদ।

টেন্ডারের মাধ্যমে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমাটির কাজ পেয়েছে কিবরিয়া ফিল্মস। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ তিনজন পরিচালনা করবেন সিনেমাটি। ৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল বলে জানান সচিব খাজা মিয়া। কার স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন, কোনো একজনের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজটি হচ্ছে না। যারা আবেদন জমা দিয়েছেন তাদের সবারই আলাদা স্ক্রিপ্ট ছিল।

সচিব বলছেন, নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে সিনেমাটির কাজ। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমা কি সমালোচনার উর্ধ্বে থাকতে পারবে? প্রশ্ন ছিল সচিবের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, আশা করছি। আমরা খুব সিনসিয়ারলি এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষ যেন অপারেশন জ্যাকপট সিনেমাটি দেখতে আসে। একবার দেখে, আরেকবার দেখার আগ্রহ তৈরি হয়, যেন সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে গল্প করতে পারে। সে সব বিষয় বিবেচনা করে কাজটি করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিং শুরু কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব। শিগগিরই কার্যাদেশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন