স্বাস্থ্য ডেস্ক:
চলতি মাসে ডেঙ্গুতে ২৩ বছরের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন। মাঝে রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল থাকলেও আবারও আক্রান্ত বাড়ায় দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
দিন যতই যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল ততই দীর্ঘ হচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন যেন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
আগে এডিস মশা নিধনে লোক দেখানো কার্যক্রম করলেও এখন নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে জনসাধারণের মাঝে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উপজেলা পর্যায়ে যেসব হাসপাতাল আছে, তা দিয়েই ব্যবস্থা করা সম্ভব। কিন্তু রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে দূরের হাসপাতালে আসা শুরু করলে রাস্তার মধ্যেই তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি রিকোভার করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেখানে আছে আগে সেখানে যাক। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেয়া না গেলে পরে বড় হাসপাতালে নেয়া যেতে পারে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গড়ে প্রতিদিন ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এদিকে দুই সপ্তাহ থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, এখন ২/৩ দিনের জ্বরে ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আগে কিন্তু তেমনটা হতো না। তাই জ্বর হলে অবহেলা না করে আগে জানতে হবে, তার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা। ডেঙ্গু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ যদি বাসায় বসেও প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খায় তাহলেও কিন্তু দেখা যায় যে শকটড হয় না।
এদিকে জেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু চিকিৎসা থাকায় সেখান থেকে রোগীদের ঢাকায় স্থানান্তর না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এ প্রসঙ্গে ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, একটা শকের রোগী নিয়ে গেল, তাকে ম্যানেজ না করে যদি বলা হয় যে, তাড়াতাড়ি এখন ঢাকার দিকে যান। তাহলে দেখা যাবে, রাস্তাতেই রোগীটা হয়তো মারা যাবে অথবা তার অর্গান ফেইলুয়ার হয়ে যাবে। তখন হাসপাতালে এলেও অবস্থা পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে যায়।
অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।