আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির দরগাহপুরে জামে মসজিদে ইমাম রাখাকে কেন্দ্র করে সভাপতির উপর হামলা ও মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামের জনৈক সিদ্দিক মোল্যার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপরে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে আশাশুনির দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি জামে মসজিদে ইমাম রাখা কেন্দ্র করে মসজিদের মুসুল্লিরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়।
বেশীর ভাগ মুসুল্লিরা মসজিদে ইমাম রাখার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। বেশীর ভাগ মুসুল্লিদের মতামতে প্রাধ্যন্যদেন উক্ত মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহাতাপ গোলদার। সে কারনে প্রতিপক্ষ গ্রুপের মুসুল্লিরা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা সভাপতিসহ কমিটির সদস্যদের মারপিট করার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে আসছিল।
ষড়যন্ত্র অনুয়ায়ী এক পর্যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহাতাপ গোলদার মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ী ফেরার পথে খরয়াটি সাকিনের সিদ্দিক মোল্যার বাড়ীর সামনে পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ গ্রুপের খরিয়াটি গ্রামের মৃত কপিল মালঙ্গির পুত্র মোঃ আদিল মালঙ্গি (৪৯) ওরফে পান্নার নেতৃত্বে আমিলাক মালঙ্গির পুত্র আলাউল মালঙ্গি(৫১), মুজিত মালঙ্গির পুত্র মুকুল মালঙ্গি (৩৪) সহ ৪ও ৫জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগাজাজ করা সহ তাকে কিছু বুঝে উঠার আগেই তার উপর হামলা করে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে আহত করে। তার ডাক চিৎকারে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সভাপতিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের ক্লিনিকে ভর্তি করে। এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় মসজিদের দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ফলে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশাংকা থাকায় এলাকার মুসুল্লিরা শুক্রবার জম্মার নামাজ পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছিল ।
এ বিষয় থানায় মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহাতাপ গোলদার বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক আশাশুনি থানার ওসি মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে এএসআই সোহেল রানা সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌছিয়ে সেখানকার উত্তাপ্ত নিয়ন্ত্রনে এনে জুম্মার নামাজ আদায় করার সুযোগ করে দেন।
এ বিষয় থানার ওসি মোঃ মমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে জুম্মার নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি বলেন মসজিদসহ ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কেহ বাড়াবাড়ি করলে সহ্য করা হবে না, কাউকে ছাড় নয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় সভাপতির উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খরিয়াটি গ্রামবাসী।