হোম অর্থ ও বাণিজ্য বাঁশ-বেতের পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে উদ্যোগ

বাণিজ্য ডেস্ক :

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বড়টিয়া ইউনিয়নে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প। অনগ্রসর মানুষের তৈরি করা এসব পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে এ শিল্পের প্রতি অনেকের অনীহার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দিন দিন কমছে শিল্পটির সঙ্গে জড়িত পরিবারের সংখ্যা।

জেলা প্রশাসনের সূত্র বলছে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পকে রক্ষা করার পাশাপাশি শিল্পটির সঙ্গে সংশিষ্টদের কর্মসংস্থানকে বাণিজ্যিক রূপদান করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়া বিশ্ববাজারে বাশঁ-বেতের পণ্যের প্রসার ঘটবে।

ঘিওর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান জানান, বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাদের পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছে না। কারণ দেশীয় ও বৈদেশিক বাজারগুলো মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে রয়েছে।

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল শাখা অফিসগুলো নিয়ে বিশেষ করে সমবায়, সমাজ সেবা সংস্থা নিয়ে বাজার সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ পেশার সঙ্গে জড়িত হরিদাস জানান, নিজেদের বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে ঘিওরের অনগ্রসর বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে কয়েকশো পরিবার জড়িত রয়েছে। তবে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি করা পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে তারা দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন।

কালিপদ নামের আরেকজন বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে বাজার সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ ও পণ্যের মান অন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন করার আশ্বাসে আমরা খুশি।

পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে দেশীয় ও বৈদেশিক বাজার সৃষ্টিতে জেলা প্রশাসনের কাজ করার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আব্দল লতিফ বলেন, এ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা থেকে রক্ষা করাসহ পণ্যের মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বড়টিয়া ইউনিয়নে বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২০০ পরিবারকে এ পাইলট প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন