জাতীয় ডেস্ক :
রেল শ্রমিকদের আন্দোলনের কোনো ভিত্তি নেই, তাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কাজেই স্থায়ী করার প্রশ্নই আসে না, শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠকও হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এসব শ্রমিকের কাজ নেই, তাই তাদের প্রয়োজন নেই। তবে আবার কাজ এলে তখন আমরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেবে।’
এদিকে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে আন্দোলনরত অস্থায়ী শ্রমিকদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে। মেলেনি রেলভবনে যাওয়ার অনুমতিও।
এরই সঙ্গে চাকরি স্থায়ীকরণসহ ৬ দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে রেলওয়ের অস্থায়ী ৭ হাজার শ্রমিকের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশনের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আগত রেল শ্রমিকরা।
এ সময় নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে রেল প্রশাসনের প্রতি চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়ার দাবি জানান শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা দাবি করেন, গেটম্যান, ওয়েম্যান, পয়েন্টম্যানদের কর্মবিরতির কারণে রেলের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেক স্টেশনে ট্রেন ক্রসিং বন্ধ আছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আধঘণ্টা, কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেরিতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোকে পাসিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার কোনো কোনোটায় গেটম্যান ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পার হয়।
কমলাপুরে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন শ্রমিক।
অন্যদিকে দুপুর ১টায় রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্বনিধারিত বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি বলে দাবি করেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
নেতারা বলেন, জনবল সংকটে রেলে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৭ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী ভিত্তিতে তারা চাকরি করে আসছিলেন। চলতি বছর জুনে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী বছর জানুয়ারি থেকে আর চাকরিতে বহাল থাকবে না কেউ।
এমন ঘোষণা দিয়ে অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দেয়া হয়। বলা হয়, নতুন করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে জনবল। রেলের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন-ভাতাসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন অস্থায়ী রেলকর্মীরা।