হোম আন্তর্জাতিক উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নানা হুমকি সত্ত্বেও অবশেষে চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রকাশ করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ‘সম্ভবত’ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই চীনের বিরুদ্ধে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা। গণহত্যা এবং নির্যাতন চালানোর এ অভিযোগ নতুন না হলেও, এ বিষয়ে প্রায় সময়ই গভীর উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিও জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

অবশেষে চীনের নানা চাপ আর হুমকি সত্ত্বেও বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করল জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক ১৩ মিনিট আগে বুধবার রাতে এ প্রতিবেদন করা হয়।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের সদর দফতর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুরসহ শিনজিয়াং প্রদেশের সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের যে অভিযোগ রয়েছে তার গ্রহণযোগ্য ভিত্তি রয়েছে। অঞ্চলটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কর্মসূচির নামে সেখানে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে বরাবরের মতো অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, চীনবিরোধী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার অংশ হিসেবেই জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন। যার কোনো ভিত্তি নেই। সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ নেয়ার কারণে ওই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে এসেছে বলেও দাবি করা হয়।

এছাড়া শিনজিয়াংজুড়ে ২০১৭ সালে যে সংশোধন কেন্দ্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলো স্কুল বলেও দাবি বেইজিংয়ের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন