হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়ার সেনা সমাবেশের ঘোষণা দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা সমাবেশের ঘোষণা তাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিংক। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর এএফপি।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য উপলব্ধ সব উপায় ব্যবহার করব।’

পুতিনের সেনা সমাবেশের ঘটনায় এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিংক টুইটারে লিখেছেন, লজ্জাজনক গণভোট ও সেনা সমাবেশ রাশিয়ার দুর্বলতা ও ব্যর্থতার প্রকাশ।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন করা ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকৃতি দেবে না। যতদিন প্রয়োজন আমরা ইউক্রেনের পাশে আছি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার এ আংশিক সংহতিকরণের বিষয়টি অস্পষ্ট এক ধারণা। তবে এর অর্থ হতে পারে, রুশ ব্যবসায়ী এবং নাগরিকদের যুদ্ধের প্রচেষ্টায় আরও বেশি অবদান রাখতে হবে। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করা সত্ত্বেও রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেনি। এ আক্রমণকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে মস্কো।

তবে পুতিনের নতুন এ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণাও আসতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে ১ লাখ ৩৭ হাজার সদস্য বাড়ানোর এক নির্দেশনায় (ডিক্রিতে) সই করেন পুতিন। বর্তমানে রুশ সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্যসংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বেসামরিক কর্মী রয়েছে প্রায় ৯ লাখ।

পুতিনের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ২০ লাখ ৩৯ হাজার জনে উন্নীত করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে সামরিক সদস্য হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৬২৮।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন