ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ডহরমৌভোগ গ্রামের দেব দাশ কীর্ত্তুনীয়ার ব্যক্তি মালিকানা ও ভোগদখলীয় জায়গার উপর একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক রাস্তা তৈরীর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওউ এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে মৃদু উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, দেব দাশ কীর্ত্তুনীয়ার ভোগ দখলীয় জমিতে বাদীগনের বাস্তবাড়ি রয়েছে। এছাড়াও উক্ত জমিতে উচ্চ আদালতে দেওয়ানী ৫১/২০নং নিষেধাজ্ঞা মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল লোকজনের চলাচল করার ওই মালিকানা জায়গায় রাস্তা তৈরী করার জন্য মাটি ভরাট করে। এসময় উক্ত জায়গায় রোপন করা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০/১২টি কর্তন করে।
ভোগদখলকারী দেবদাশ কীর্ত্তুনীয়ার দাবী, ওই জমির প্রকৃত মালিক তারা। পূর্বপুরুষ থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছেন। তাদের নিকট জমির সকল কাগজপত্র রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিতিশ ঢালীসহ এলাকার কয়েকজন জানান, ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ডহরমৌভোগ একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকার পূর্বপাড়া একটা রাস্তার অভাবে অর্ধশতাধিক পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তী হচ্ছে।
এসব পরিবারের সদস্যরা সামান্য রাস্তার অভাবে অনেক দুর ঘুরে যাতায়াত করা সহ বিভিন্ন বাড়ির উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু যেসব বাড়ির উপর দিয়ে যাতায়াত করে সেসব বাড়ীর লোকজন মাঝে মধ্যে যাতায়াত বন্দ করে দেয়। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এসব পরিবারদের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা অনিল কৃষ্ণ রায়, গুরুদাস অধিকারী, বালক বৈরাগী, মিতুল বালা, সুরঞ্জন অধিকারী, লিটন বালা, সবিরন ঢালীসহ অনেকে জানান, এই জায়গার প্রকৃত মালিক দেবদাশ বালা। কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জোর পূর্বক ব্যাক্তি মালিকানা জায়গায় রাস্তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
্নলধা-মৌভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আমিনুর রশিদ মুক্তি বলেন, ডহরমৌভোগে ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর রাস্তা করার জন্য মাটি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অবহিত না। তবে স্থানীয় লোলজনের যাতায়াতে সুবিধার্থে ওই জায়গার পাশে সরকারি খাস জমির উপর রাস্তা করার জন্য মাটি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।