জাতীয় ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলীয় এলাকায়। সমুদ্র বন্দরে জারি রয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জেলে। বৈরি আবহাওয়ায় তাদের উদ্ধারে তৎপরতা অনেকটা থমকে আছে।
গত কদিন ধরেই সাগরে বড় বড় ঢেউয়ে টালমাটাল ছোট ছোট ট্রলার। থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। সে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বইছে দমকা হাওয়াও। এ অবস্থায় সতর্ক সংকেত মেনে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে নিরাপদ স্থানে নোঙর করেছেন অনেক জেলে। তবে অব্যাহত বৃষ্টিপাতে রাস্তাঘাটে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে পথচারীদের। সৈকতে ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।
কীর্তনখোলা নদীর পানি বাড়াতে বরিশাল নগরীর ভাটিখানা, পলাশপুর, গোরস্থান রোড, বটতলা ও চর বাড়িয়া এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এদিকে মুষলধারার বৃষ্টিতে মোংলাতেও বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল ঘষিয়াখালী নদী পাড়ি দিচ্ছেন অনেকে।
টইটুম্বর পানিতে নাকাল ঝালকাঠিবাসী। জেলার সুগন্ধা, বিশখালি, হলতা আর বাসন্ডা নদীর পানি উপচে পড়ে তলিয়ে রয়েছে ১৫টিরও বেশি গ্রাম। পানিবন্দিদের দুর্ভোগ পরমে পৌঁছেছে।
জোয়ারের পানিতে সয়লাব পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল। পানি না কমায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। তলিয়ে গেছে আউশের ক্ষেত ও আমানের বীজতলা। এতে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৫ হাজার হেক্টর আউশের ক্ষেত ও ১২ হাজার হেক্টর আমনের বীজতলা। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক শত মাছের ঘেরও। আর মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
এদিকে, সাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ভোলা ও পটুয়াখালীর ১৮ জন জেলে। এতে নিখোঁজদের জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে স্বজনদের।