হোম অর্থ ও বাণিজ্য ২০ বছরের সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

বাণিজ্য ডেস্ক :

২০ বছরের মধ্যে খুলনায় এ বছর জুন ও জুলাইয়ে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আমন ধান আবাদে। কৃষি অধিদফতরের লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশ জমিতে এখনও আমন ধান আবাদ হয়নি। এতে আগামী মৌসুমে এ অঞ্চল থেকে ফসল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ জন্য স্লুইস গেট খুলে দেয়াসহ বিকল্প উপায়ে পানি সরবরাহের দাবি করেন কৃষকরা।

ভরা বর্ষায় কৃষকদের মাঠে ব্যস্ত থাকার কথা, বাতাসে ধানের চারার গা এলিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে খুলনার বটিয়াঘাটার বিশাল মাঠগুলো একেবারেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

মূলত বর্ষাকালে জুলাই মাসে বেশি বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জুন মাসে খুলনায় ৭৬ মিলিমিটার, আর জুলাই মাসে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ২০ বছরে জুলাই মাসে গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৩৫০ মিলিমিটারের ওপরে।

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে এ বছর জেলায় এমন অনাবৃষ্টি বলে জানান খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহওয়াবিদ আমিরুল আজাদ। তিনি বলেন, ২০০৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখা যায় যে এ বছরই সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে আমন ধানের চারা আবাদ করতে পারছেন না খুলনার কৃষকরা। এ বছর জেলার ৯৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। পানির অভাবে আমন ধানের চারা আবাদ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। বিকল্প উপায়ে স্লুইস গেটের মাধ্যমে পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

এবিষয়ে এক কৃষক বলেন, ৭০ বছরে এমন অনাবৃষ্টি দেখিনি। আমাদের এ জমি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

এদিকে স্লুইস গেট দিয়ে পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা ‍কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।

উল্লেখ্য, জেলার ৪ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে ৩ হাজার ১০০ হেক্টরে জমিতে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন