খুলনা অফিস :
খুলনার কয়রায় জলের মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের পুরো ঘটনাটি যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন কয়রার সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন দেশে-বিদেশে সরকারকে বেকায়দায় ও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে জামায়াতের নেতারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আশপাশে উঁচু স্থান ও বেড়িবাঁধ থাকলেও পানির মধ্যে দাড়িয়ে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের নামাজ আদায় করা এবং তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরবরাহের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। পবিত্র ধর্ম নিয়ে এ ধরনের কাজকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা বলে মনে করছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও ধারণ মানুষ। আর স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন, আশপাশে উঁচু জায়গা ও বাধ থাকতেও পানির মধ্যে ঈদের নামাজ পড়ে দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ১৯৭৪ সালের সেই বাসন্তীর জালের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে বহির্বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচার করে বর্তমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অপচেষ্টা করেছে। এদিকে, পানিতে ঈদের নামাজ পড়ার ঘটনায় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শুরু করেছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০মে সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় খুলনার কয়রা উপজেলায়।আম্পানের আঘাতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর, উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙ্গে যায় কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও আড়পাঙ্গাসিয়াসহ পাঁচটি নদীর তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ। এরমধ্যে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬নং কয়রা, ৪নং কয়রার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মহারাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক, পবনা বাঁধ, হারেজখালি, পদ্মপুকুর, শিকারিবাড়ি, পাথরখালিসহ ৩৬টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার ৮০ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। প্রশাসনের হিসেবেই কয়রা উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে। প্রায় ৩৫হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে উচুবাধ এবং সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়। আর বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। এই অবস্থায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবুরার হরিনখোলা ও ঘোটাখালি এলাকায় সাধারণ মানুষ ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫মে ঈদের দিনও সকাল থেকে শত শত সাধারণ মানুষ বাধ মেরামতের কাজ শুরু করে। কিন্তু ঈদের নামাজের সময় হলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাপরাধী দল খুলনা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আ. খ. ম. তমিজ উদ্দিনের আহবানে ও ইমামতিতে সবাই নামাজ পড়েন পানির মধ্যেই। এ নামাজে ব্যাপক সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলামসহ অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা এবং তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বাঁধ নির্মাণ কাজে অংশ নেয়া আব্দুল মালেক, ইব্রাহিম হোসেন, রুহুল আমীনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, পানিতে নামাজ পড়ার এই ঘটনা আগে থেকেই তাদের পরিকল্পিত ছিল। কারণ ঈদের দুইদিন আগে থেকে বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ঈদের দিন বাধ মেরামত ও সেখানেই ঈদের নামাজ আদায় করা হবে বের মাইকিং করেছিল। সেই কারণে অন্য দিনের তুলনায় ঈদের দিন বেশী সংখ্যক মানুষ বাধ মেরামত কাজে অংশ নেয়। এছাড়া আগের দিন মেরামতের কাজে না এলেও ঈদের দিনের কাজে ৪/৫কিলোমিটার দুর থেকে জামায়াত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিনসহ অনেক নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমের কাজে এসে হাজির হয়েছিল। এত মানুষ দেখে তারাও হতবাক হয়েছিলেন। কিন্তু বাধের কাজের কারণে কেউ কিছুই বলেনি। পরে ঈদের নামাজের সময় তাদেরকে জামায়াতে অংশ নিতে বললে তারা পানির মধ্যেই দাড়িয়ে নামাজ পড়েন। এই ঈদের জামাতে ইমামতি করেছে কয়রা উপজেলা জামায়াত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আ খ ম তমিজউদ্দিন। তারা আরও বলেন, আমরা নামাজ পড়েছি কিন্তু সঠিকভাবে সেজদা দিতে পারিনি। এমন নামাজ আমরা কখনও আগে পড়িনি। পরে দেখলাম এক সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন এগুলো আবার ছবি ও ভিডিও করছে। সবাই উৎফুল্ল হয়ে ছবি তোলার কাজ করেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, বাধের কাজের এক পর্যায়ে তমিজ উদ্দিনসহ কয়েকজনের আহবানে সবাই নামাজ পড়তে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু পাশে বাধে জায়গা থাকলেও জামায়াত নেতা তমিজ উদ্দিন এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অনেক লোক পানিতে নামাজ পড়েন। আমরা বাধের উপর নামাজ পড়ে সেজদা দিলেও তারা পানিতে দাড়িয়ে সেজদা না দিয়েই নামাজ শেষ করে। এটা তাদের পরিকল্পিত বলেই মনে হয়।
এদিকে, পানিতে নামাজ পড়ার ওই দৃশ্য ধারণকারী সাংবাদিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মী রুদ্র আজাদ তার নিজের ফেসবুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লেখেন-“তারপর যখন নদীতে জোয়ার আসলো তখন কাজ বন্ধ করে সেখানেই নামাজ পড়তে শুরু করছেন এলাকাবাসী। এর পিছনের কারণ হলো গত দুইদিন প্রচার করা হয়েছে যে ঘটনা স্থলেই নামাজ আদায় করা হবে। এছাড়া এত মানুষের নামাজ পড়ার জন্য আশেপাশে আর কোথাও জায়গা নেই। আর কাজের নেতৃত্বে আছে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম। এই এলাকার মানুষ আপনাদের মত দুধভাত খেয়ে জীবন পার করে না যে তাদের গুজব ছড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে তারা তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য। কোন গণমাধ্যমের দেখা এখানে নেই, যারা আসেন উপজেলা থেকে রিপোর্ট করে চলে যান। ভাঙ্গন পর্যন্ত আসতে ৫ কিলোমিটার হেঁটে আসার এনার্জি তাদের থাকে না। আমি এখানে এসেছি আমার দ্বায়বদ্ধতা থেকে। আমার জন্ম এই গ্রামে, এই বাঁধের পাশে। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা হওয়ার পর আমরা আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাই। গত এগারোটি বছর আমি আমার এই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট বুঝি। ২০ মে আম্পান হওয়ার পর সেই দ্বায়বদ্ধতা থেকে আমি আমার গ্রামে চলে এসেছি এবং বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি”।
তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা অভিযোগ করে জানান, যিনি পানিতে ঈদের নামাজের ছবি ও ভিডিও করেছেন সে সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ী খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। সেটা তার ফেসবুক পেজে থেকেই জানা যায়। তবে সে কেন এতদিন পরেই বা কয়রাতেই আসলো ছবি তুলতে? নাকি তাকে তার সংগঠন শিবির ও জামায়াতের নেতারা নিয়ে এসেছে পরিকল্পিতভাবে ছবি তুলে ও ভিডিও করে সেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় সরবরাহ করার জন্য। সেই কাজটি শিবির নেতা রুদ্র আজাদ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যতাযথভাবেই সম্পন্ন করেছেন এবং সরকারকে বিপাকে ফেলার প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মহসীণ রেজা জানান, সরকারকে বিপাকে ফেলতেই জামায়াত নেতারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেই ঈদের দিন পানিতে নামাজ পড়েছেন। সেখানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকেও জড়ো করা হয়েছিল। দুইদিন আগে থেকে জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকায় মাইকিং করে। সরকারকে সাবোটাজ করতেই জামায়াত এ কাজ করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিরও দাবী জানান।
তবে পানিতে ঈদের নামাজ পড়া ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ মেরামতের কাজে অংশ নেয়া যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আম্পানের আঘাতে ৩০-৩৫পয়েন্টে বাধ ভেঙেছে আর এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এলাকার মানুষকে বাচাতে এবং মানুষের ঘরবাড়ি,ফসল ও ক্ষেত রক্ষায় জোয়ারের পানি আটকাতে তারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাধের কাজ করেছেন। ঈদের দিনও সকাল থেকে এ কাজ চলমান ছিল। পরে এক পর্যায়ে নামাজের সময় হলে আশপাশে শুকনা জায়গা না থাকায় তারা পানিতে নামাজ পড়েছেন।তবে স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী দল খুলনা দক্সিণ জেলা জামায়াতের আমীর আ.খ.ম. তমিজ উদ্দিনের ইমামতিতে কেন ঈদের জামাত হলো সে বিষয়ে তিনি বলেন, তমিজ উদ্দিন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একজন আলেম-ওলামা লোক। স্থানীয় সবাই তাকে মান্য করে। উপস্থিত মতে তার ইমামতিতে নামাজ পড়া হয়েছে। এখানে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বা আগে থেকে পরিকল্পনা ছিলো না। তবে দুই দিন আগে থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীদের পানিতে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য মাইকিংয়ের বিষয় তিনি জানেন না বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি গনমাধ্যম থেকে জানার পর পানিতে ঈদের নামাজ পড়ার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক মহোদয় দায়ীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তবে তদন্ত চলার কারনে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলতে চাননি।
তিনি আরও বলেন, আম্পানে বেড়িবাধ বিধ্বস্ত হয়ে কয়রার ৪/৫টি ইউনিয়নের সমগ্র এলাকা লোনা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কয়রার মানুষ এখন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়রায় বাধের মেরামত কাজ এবং মনিটোরিংয়ের জন্য সেনাবাহিনীর টিম অবস্থান করছেন। দ্রুতই বাধ মেরামত এবং পুন:নির্মানের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন।
এদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস মো: আকতারুজ্জামান বাবু সাংবাদিকদের জানান, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দেশে-বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ নয়।সুপার সাইক্লোন আম্পানে খয়রা-পাইকগাছাসহ উপকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বেড়িবাধ বেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কয়রাতে সেনাবাহিনীর এক হাজার সদস অবস্তান নিয়েছে বাঙ্গা বাধ মেরামত ও তদারকির জন্য। সেখানে সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে পানিতে নামাজ পড়ে সরকারে বিরুদ্ধে এবং কয়রাসহ উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের বিরুদ্ধে তারা পরিকল্পিতভাবেই ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তা কয়রার সচেতন মানুষ কখনও হতে দেবে না বলেও জানান। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবীও জানান।
উল্লেখ্য, ২৫মে ঈদুর ফিতরের দিন কয়রায় জামায়াত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ.খ.ম. তমিজউদ্দিনের ইমামতিতে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম. শপিকুল ইসরামের নেতৃত্বে সদর ইউনিয়নের গোবরার হরিনখোলা-ঘাটাখালী এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গা বাধ মেরামতের াকজ শেষে পানিতে দাড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন সহস্রাধিক মানুষ। এ ঈদের জামাতের ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট