মোংলা প্রতিনিধি :
ধর্ষণ মামলায় মোংলায় কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মাসুদুর রহমান টুটুল (৩৫) নামের ওই কথিত সাংবাদিককে বুধবার সকালে জেলহাজতে পাঠায় আদালত। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণ মামলায় মোংলার মামার ঘাট থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টুটুল ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে।
এদিকে টুটুল বিভিন্ন দপ্তরে নিজেকে একাত্তর টিভির মোংলা প্রতিনিধির পরিচয় দিলেও কর্তৃপক্ষের ভাষ্য প্রাথমিকভাবে মোংলায় কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল তাকে। এ ঘটনার (ধর্ষণ) দায়ভার তার নিজস্ব। কর্তৃপক্ষ এর দায়-দায়িত্ব নিবে না বলেও জানান একাত্তর টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ পলাশ আহসান।
একাত্তর টিভির বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, টুটুল একাত্তর টিভির যে লোগো ব্যবহার করতো সেটি কর্তৃপক্ষের দেয়া নয়। সে নিজেই বানিয়ে নিয়েছিল। এ ব্যাপারেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কর্তৃপক্ষ।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মোংলা সরকারী কলেজ পড়–য়া এক সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারী মোংলা পৌর শহরের পাওয়ার হাউস রোডের ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আসে একাত্তর টিভির সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাসুদুর রহমান টুটুল। এরপর কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে তার ভিডিও ধারণ করে সে। ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দী অনুযায়ী পুলিশ জানায় টুটুলের মোবাইলে ধারণকৃত সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ বার ধর্ষণ করে। শেষমেষ উপায়ান্তু না পেয়ে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত কথিত সাংবাদিক টুটুলের মোবাইল ফোনে আরো ৭ থেকে ৮টি মেয়ের সাথে মেলামেশার নগ্ন ভিডিও পাওয়া যায়। এজন্য টুটুল একজন সিরিয়াল র্যাপিস্ট বলেও মন্তব্য করে পুলিশ। টুটুলকে এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানায় ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।
কথিত সাংবাদিক ও সিরিয়াল র্যাপিস্ট মাসুদুর রহমান টুটুল মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাইনমারী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। টুটুলের বিরুদ্ধে একাধিক নারী ক্লেংকারীর ঘটনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট