হোম জাতীয় ধলেশ্বরীতে একে একে ভেসে উঠল ৬ লাশ

জাতীয় ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) ট্রলার ডুবির ঘটনার পঞ্চম দিন একে একে ভেসে উঠেছে ছয়টি লাশ। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন।

রোববার(৯ জানুয়ারি) সকালে ডিক্রির চর এলাকায় একই পরিবারের মা ও মেয়েসহ চারজনের মরদেহ ভেসে উঠে। বিকেলে ভেসে উঠে আরো দুইজনের মরদেহ। এ সময় ধলেশ্বরীর দুই তীরে স্বজনদের আহাজারিতে শোকের মাতম শুরু হয় পুরো এলাকা জুড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ৭টায় ডিক্রির চর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে উঠে জিয়াসমিন আক্তার, তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, কলেজ ছাত্র সাব্বির হোসেন ও গার্মেন্টস কর্মী জোৎস্না বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ। বিকেলে আশে-পাশের স্থানে আবারো ভেসে উঠে আওলাদ হোসেন ও গার্মেন্টস শ্রমিক মোতালিবের লাশ।

পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাশ ভেসে উঠার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-বাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল যৌথভাবে পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

লাশগুলো তীরে নিয়ে আসার পর স্বজনরা শনাক্ত করলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির অবস্থান এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি তারা।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস জানান, লাশ দাফন ও সৎকারের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ১০ জন নিখোঁজ ছিল।

তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন নিহত জিয়াসমিনের দুই সন্তান তাসফিয়া, তামিম, মসজিদের মুয়াজ্জিন আবদুল্লাহ ও সামছুদ্দিন। তাদের লাশ উদ্ধারে পাঁচটি সংস্থার ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন