হোম জাতীয় ঘরে কোমর পানি, মাচাং বেঁধে বসবাস

জাতীয় ডেস্ক :

মৌলভীবাজারের সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে হাকালুকি ও কাউয়াদিঘী হাওর নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার পানি এখনো নামেনি। এতে বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর পানিতে নিমজ্জিত। দুর্গত এলাকার লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

হাওড় পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর এখনো হাঁটু ও কোমর পানিতে নিমজ্জিত। অনেকে ঘরে মাচাং বেঁধে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (২৬ জুন) দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুকনো খাবার প্যাকেট দিয়ে তাদের সহায়তা করলেও ত্রাণ সামগ্রী খুবই অপ্রতুল। এ দিকে যারা বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। এ রকম পরিবারের সংখ্যাও অনেক। তারা বৈরী প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে যুদ্ধ করে আজ প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় বাড়ি ঘরেই রয়েছেন। হাওড় পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর এখনো হাঁটু ও কোমর পানি। সেখানে ঘরে মাচাং বেঁধে বসবাস করছেন অনেকে।

হাওড় নিম্নাঞ্চলের এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট। এ ছাড়া রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় নৌকা হচ্ছে হাওড় পাড়ের মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। তবে অধিকাংশ গরিব এসব মানুষের নেই কোনো পারাপারের নৌকা। এতে যাতায়াতসহ নানাভাবে তারা দুবির্ষহ জীবন কাঁটাচ্ছেন।

এ দিকে এ উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানের অভ্যন্তরীণ সড়ক পথ এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে এসব উপজেলার সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ এক রকম বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কুশিয়ারা ও মনু নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যায় অনেক উঁচু স্থানের পানি নামতে শুরু করেছে। শেরপুর হামরকোনা কুশিয়ারা নদীর ভেঙে যাওয়ায় বাঁধ উম্মুক্ত রয়েছে। এতে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানিয়েছেন, সদর উপজেলাসহ বেশ কয়েক এলাকায় বন্যার উন্নতি হচ্ছে। তবে বড়লেখা, জুড়ি, রাগজনগর ও কুলাউড়া উপজেলায় বন্যার পানি খুব ধীরগতিতে নামছে। এতে এ এলাকাগুলোতে বন্যার তেমন একটা উন্নতি হচ্ছে না।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত ২১৮ মেট্রিকটন চাল, ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ৮ হাজার ৬৩২ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ৫টি উপজেলায় নিয়মিত ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট চাল, ডালসহ শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ৮২ হাজার ৯০০ পিস বিতরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন