জাতীয় ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উন্নয়নমূলক কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সীমানা প্রাচীরের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ বছর আগের পুরাতন ইট। সরকারের ৫ লাখ টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রায় ৭৩ লাখ টাকা গচ্চা যাওয়ার।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমানা প্রাচীর, প্রধান ফটক পুনর্নির্মাণ ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাসভবন রঙ করা, অফিস ও বাংলো মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবহার করা হচ্ছে পুরনো ইট, নিম্নমানের খোয়া, পাথর ও বালি।
২০২২ সালের ১১ মার্চ থেকে পটুয়াখালীর মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২৩ সালের ২০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সময় রয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদার বিশ্বজিৎ কুমারের কাছে বিক্রি করে দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে নানা অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ স্থানীদের।
পুরাতন ইট দেয়ালের কাজে ব্যবহার করলে স্থায়ীত্বকাল কম ও দ্রুত নষ্ট হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কাজী রফিকুল ইসলাম।
তবে কোয়ালিটি সম্পন্ন পুরাতন ইট ব্যবহার করায় সরকারি টাকা কম লাগছে বলে দাবি চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ।
১ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩টি প্যাকেজের নির্মাণ কাজ চলছে।