হোম জাতীয় শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাঁচার চেষ্টায় বন্যাদুর্গতরা

জাতীয় ডেস্ক :

ফেনীতে মুহুরীর পর কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পানির তোড়ে ভেসে গেছে সব। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম, জামালপুরের নিম্নাঞ্চলে ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

হু হু করে ঢুকছে বানের পানি। তাই শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাঁচার চেষ্টায় দুর্গত এলাকার মানুষ। ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি পয়েন্টে ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। প্লাবিত হয়েছে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রাম। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি না কমা পর্যন্ত বাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা শতভাগ ডুবে যাওয়ার পর এবার কংশ নদীর পাড়ের সদর, বারহাট্টা ও মদন উপজেলার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। জামালপুরে যমুনার পানি বেড়ে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নদীর তীরবর্তী নিম্মাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

সিরাজগঞ্জে ঘরবাড়ি, টিউবওয়েল সব পানির নিচে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। গবাদি পশু নিয়েও বিপর্যস্ত মানুষ।

এদিকে তিস্তাসহ সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ পাঁচটি নদীর পানি উপচে নয় উপজেলার তিনশ’ উনিশ গ্রাম প্লাবিত। কুড়িগ্রামে বন্ধ হয়ে গেছে ৩শ ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন