খেলাধূলা ডেস্ক :
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিশ্বরেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করে ফের জাতীয় দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। দীর্ঘদিন পর তিনি ডাক পান টাইগারদের স্কোয়াডে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সফরের ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ডাক পাওয়া বিজয়ের সামনে টেস্টের দুয়ারও খুলে যায় ইয়াসির রাব্বির ইনজুরিতে। জাতীয় দলে ফিরে উচ্ছ্বসিত এই ব্যাটার খেলতে চান দ্বিতীয় টেস্টে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসরে ব্যাট হাতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টে ১০০০ এর উপর রান করেছেন। এমন পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে তাকে আর উপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে সুযোগ না পেলেও তার জন্য বন্ধ দুয়ার খুলে যায় উইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করা হলে। উইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি দলে ডাক পান বিজয়। প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে একাদশেও থাকার।
অপ্রত্যাশিতভাবে তার সামনে একটা সুযোগ এনে দিয়েছে ইয়াসির আলি রাব্বির ইনজুরি। কোমরের চোটে দলের বাহিরে ছিটকে যাওয়া রাব্বির জায়গায় টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন বিজয়। নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হওয়া অ্যান্টিগা টেস্টে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় টেস্টের আগেই উইন্ডিজে পৌঁছে গেছেন তিনি। দলের টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় একাদশে সুযোগ পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনাও আছে তার।
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে উইন্ডিজে পৌঁছে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজয়। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত বিজয় সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে চান। ভালো ব্যাট করে অবদান রাখতে চান দলের সংগ্রহে।
বিজয় বলেন, ‘গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। অনেক দিন পর টেস্ট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো লাগছে। সামনে আরও চার-পাঁচ দিন আছে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য। চেষ্টা করব ভালোভাবে অনুশীলন করে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলার জন্য। যদি সুযোগ আসে অবশ্যই চেষ্টা করব ভালো করে খেলার। অনেক দিন পর যেহেতু আসলাম, খুবই ভালো লাগছে।’
২০১৩ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট খেলে ৭৩ রান করেছেন। ২০১৪ সালের পর আর টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে বিজয়কে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০২১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৪ জুন। সিরিজের শেষ টেস্টটির ভেন্যু সেন্ট লুসিয়া।