জাতীয় ডেস্ক :
ঋণ ও বিল খেলাপি হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন, আইনের এ বিধান সংশোধন হওয়া উচিত বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৬ জুন) সেবা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
যদিও এর সঙ্গে একমত নন আর্থিক খাতের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, সিআইবিতে যাদের নাম আসবে তাদেরও প্রার্থিতা বাতিলের বিধান আইনে যুক্ত হওয়া দরকার।
ঋণ ও বিল খেলাপি হলেই বাতিল নির্বাচনের প্রার্থিতা। আরপিওর এমন বিধান সংশোধনের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তাদের যুক্তি চলতি আইনের ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণের দুই এক কিস্তি না দিলেও গণ্য হয় খেলাপি হিসেবে। তাই নতুন করে কেবল ব্যাংক স্বীকৃত খেলাপিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এমন অবস্থায় সোমবার সকালে নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। এতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে থাকা ঋণ ও বিল খেলাপির বিধান সংশোধনের পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে কমিশন।
ঋণ অনাদায়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে শুধু সেই প্রার্থীদের ঋণখেলাপি বিবেচনা করে প্রার্থিতা বাতিলে আইন সংশোধন করতে চায় ইসি। তবে ব্যাংক প্রতিনিধিরা কমিশনের এ প্রস্তাবে রাজি হননি।
সিইসি বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকাররা বলেছেন এখন যে বিধান দেয়া আছে ব্যাংক ঋণ ওটা থাকলে ভালো হয়। আমরা সেই জিনিসটা শুনেছি, আর আমরা যেটা প্রস্তাব করেছিলাম এটাতে উনারা স্বস্তি প্রকাশ করেনি, তাই আমরা ওই আলোকে জিনিসটা চিন্তা করব। চিন্তা করে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।
ব্যাংক প্রতিনিধিদের উল্টো দাবি সিআইবিতে ঋণ খেলাপির নাম থাকলেই প্রার্থিতা বাতিলের বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, তাদেরও প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রেখে আইন সংশোধনের।
পূবালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার দেওয়ান রুহুল আহসান বলেন, অর্থ ঋণে মামলা থাকুক এটা শর্ত হলে কোনো সমস্যা নেই। আমরা মামলা করি একটু আগে আর পরে। কিন্তু যখনই কেউ সিআইবিতে ফিট করা হয় তখন সিআইবির যা নিয়ম সেটা যুক্ত করা হবে।
এতে কমিশনের নেয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়ন আরো কঠিন হলেও, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।