জাতীয় ডেস্ক :
কোমল পানীয়র সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে হায়দার আলী (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। হায়দার আলী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিনশিরা গ্রামের বাসিন্দা।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নিভৃত পল্লীর এ ঘটনায় বাবা-মেয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, বুধবার (১ জুন) রাত ৮টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে হায়দার আলী। বাড়ির সদস্যরা তার পূর্ব পরিচিত। এ সময় প্রাণ আপের বোতলে স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ান হায়দার আলী।
পরে বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, শিক্ষার্থী বিবস্ত্র অবস্থায় দরজার সামনে এবং তার বাবা অচেতন অবস্থায় একটি ঘরে শুয়ে আছেন। তারা তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. আশিক আহমদ জেবাল বলেন, ধর্ষণের আলামত নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়। গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে নিবিড়ভাবে দেখছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। মেয়েটির বাবাও এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ধর্ষণের অভিযোগে এলাকাবাসী হায়দার আলীকে কৌশলে ডেকে এনে বেঁধে রাখে। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে বিকেলে হায়দার আলীকে জেল হাজতে পাঠায়।