হোম জাতীয় ‘টেকসই বাঁধ না হলে বাঁচবে না দাকোপের মানুষ’

জাতীয় ডেস্ক :

খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙার শঙ্কা আর আতঙ্কে দিন পার করছেন সাধারণ মানুষ। ছোট-বড় ঘূর্ণিঝড় কিংবা প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের। তবে এ কাজে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ভাঙা আর নাজুক এ বাঁধ দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়নবাসীকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য নির্মাণ করা। তবে দীর্ঘ এ বেড়িবাঁধ এখন নিজেই অস্তিত্ব সংকটে।

ষাটের দশকে নির্মিত খুলনা জেলার বেড়িবাঁধগুলো বছরের বছর চলছে শুধুমাত্র সংস্কার প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হলেই সামান্য সংস্কার করা হয়। অথচ জেলার ৪৮ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ও সাড়ে সাত কিলোমিটার বাঁধ অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নির্মাণ করা হয়নি কোন টেকসই বেড়িবাঁধ। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। এলাকাবাসী বলেন, ঝড় আসলেই আমাদের ভয় করে। থাকতে পারি না। সমস্যার কথা কি বলবো। সবই তো ভেঙে নিয়ে গেছে। এখানে টেকসই বাঁধ না দেয়া হলে এখানকার মানুষদের বাঁচানো সম্ভব না।

পানখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি, ঢাকায় চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো টেকসই বাঁধ হচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়না। তবে, পুনর্বাসন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করতে হলে যে অর্থায়ন করা প্রয়োজন তা বরাদ্দ করা হয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের উপকূলীয় এলাকায় মোট এক হাজার ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে।
উপকূলীয় এলকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে নানা প্রকল্প নেয়া হলেও বাস্তবে সেগুলো টেকসই না হওয়ায়, নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কমছেই না। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে আরও শক্তিশালী হস্তক্ষেপ কামনা করেন অবহেলিত এসব জনপদের বাসিন্দারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন