হোম অন্যান্যসারাদেশ পৌর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের চক্রান্ত, জামায়াত-বিএনপি একাট্টা, সাতক্ষীরায় ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদন :

ব্যাভিচার ও পতিতাবৃত্তির হাত থেকে এলাকার যুব সমাজকে বাঁচাতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হলেন সাতক্ষীরা পৌর ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ আরও ৫ জন। তবে অভিযোগ আছে সম্পূর্ন রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করতেই ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা করেছে বাদী বিএনপি কর্মী আনারুল ইসলাম এতিম।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ‘জাহানাবাজ গ্রামের ননি গোপাল সাধনের কন্যা বিধবা নিলিমা সরদারের সহিত কর্ম স‚ত্রে পরিচয় ঘটে ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট নিলিমা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে শেফালি খাতুন নাম গ্রহণ করে আনারুল ইসলাম এতিম কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের সম্মতিতে সাতক্ষীরা কোট থেকে এফিডেভিট’র মাধ্যমে ১৮ আগস্ট মৌলভীর মাধ্যামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোট থেকে রেজিস্টার করে ১০৮২/২১ নং হলফনামা সম্পাদন করে।’ সত্য ঘটনা হলো আবাসিক এলাকায় বসবাস করা উঠতি বয়সি কিশোর ও সদ্য তরুনদের পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগের প্রেরিক্ষিতে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি যাচাই বাছাই করতে যায়। সে সময় তাদের কাছে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা দেখাতে পারেনি। তবে তারা মামলা ও একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদে দাবী করে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে যার নং ১০৮২/২১, তারিখ ১৮/০৮/২১ এবং পরে নিকাহনামা করা হয়। উল্লেখ্য এফিডেভিট বিবাহের বৈধ কাগজ বলে গন্য হয়না। তবে মামলা বা সংবাদে প্রকাশিত বক্তব্যে তাদের ঘোষণা মতে রেজিঃ নিকাহ নামার কোন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করতে পারেনি। এমনকি কোন কাজির কাছে রেজিঃ নিকাহ করা হয়েছে তাও জানাতে পারেনি।

বাদী মামলায় উল্লেখ করে, ‘১ মে রাত্র ১০ টার সময় ইটাগাছা বিহারী পুকুর কান্দায় ডেকে নিয়ে আসামীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আর সেই চাঁদার অংশ ২০হাজার টাকা বাদী এতিম ঘটনার ৫ দিন পূর্বে ২৫ এপ্রিল দিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে। হাস্যকর বিষয় হলো ওই একই বাদী টাকার জোরে বিকৃত সংবাদে বক্তব্য দেয় যে ওই দিনই আসামীরা চাঁদা দাবী করে চাঁদার বিশ হাজার টাকা নিয়ে আসে। প্রশ্ন হলো চাঁদা চাওয়ার পূর্বেই আসামীদের এতিম বিশ হাজার টাকা কিভাবে দিলেন। অসংলগ্ন ঘটনাক্রম ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বাদির অসংলগ্ন বক্তব্যতেই প্রতীয়মান হয়যে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এছাড়াও ঘটনার দিন এতিম তার অনৈতিক কাজে বাধা রেজাউলসহ বাকিদের মামলা সহ খুন জখমের হুমকি দেয়। তারই প্রেক্ষিতে ১৩/০৫/২০২২খ্রিঃ সাতক্ষীরা সদর থানায় ৮২২ নং সাধারণ ডাইরি করেন মামলার অন্যতম আসামী আসাদুজ্জামান লাভলু।

এবার স্বাক্ষীদের বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বাদীর ৫নং স্বাক্ষীর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে। প্রশ্ন হলো সে সময় এতিমের ঘরে কি করছিলো সে। এছাড়াও সে জেলা জামায়াতের একজন নেতা ও হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি নাশকতা মামলার আসামী সালাউদ্দীন। এদিকে ৩নং স্বাক্ষী শাহাজান বিশ্বাস জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। সে মামুন হত্যা মামলা, আমান হত্যা মামলাসহ অস্ত্র ও নাশকতা মামলার আসামী। এদিকে ২নং স্বাক্ষী নাজির হোসেন চিহ্নিত মাদক সেবী। তবে মাঝে মাঝে উঠতি তরুনদের মাদক সরবরাহও করে। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করা কথিত এক হাইব্রিড আ’লীগ নেতার পাদুকা তলে আশ্রয় নেয়। অন্য দিকে বাদী আনারুল ইসলাম এতিম বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী।

কেমন ব্যাক্তি আনারুল ইসলাম এতিম?

সাংবাদিক ও আ’লীগ নেতৃবৃন্দের নামে করা মামলার বাদী আনারুল ইসলাম এতিমের ব্যক্তি জীবনও ….। বহু বিবাহের নায়ক সে। তার প্রথম স্ত্রী মধুমল্লার ডাঙ্গীতে বসবাস করে নিজস্ব বাড়িতে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী এক সন্তানসহ পলাশপোলে ভাড়া বাসায় থাকে। তৃতীয় স্ত্রী তার ছেলে ইটাগাছা শ্বশুরবাড়িতে থাকে। এরই মধ্যে বিয়ের নামে অবৈধভাবে ইটাগাছা এলকার বকুলের বাসায় স্বাক্ষীতে উল্লেখিত শেফালি খাতুনের সাথে থাকে ভাড়া বাসায়। এছাড়াও জুয়া খেলার নেশাও আছে তার। এদিকে স্থানীয় বিপদগ্রস্থ মানুষকে চড়া সুদে টাকা দিয়ে এতিমের অবস্থা বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এদিকে সম্পুর্ণ সুস্থ্য থাকার পরও স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে সু-সম্পর্ক থাকার সুবাদে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও তৈরি করে নিয়েছে এতিম। নিয়মিতই কার্ডের সকল সুযোগ সুবিধা নেয় এতিম। অপরদিকে শেফালি খাতুনের আছে বিধবা ভাতার কার্ড। প্রশ্ন হলো এতিম যদি তার স্বামী হয় তাহলে বিধবা ভাতার কার্ডের সুবিধা তিনি কীভাবে গ্রহণ করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী জানান, সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এতিম ও নাশকতা মামলার আসামীরা একজোট হয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের মদদ দিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নেয়া একই ওয়ার্ডের এক হাইব্রিড আ’লীগ নেতা যার মদদে চলতি বছরের ১২ মার্চ সাতক্ষীরা পৌর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। সে ঘটনায় ২৪মার্চ সাতক্ষীরা সদর থানায় ৬৪৭ নং মামলা দায়ের করা হয়। অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের দমাতেই মূলত এ মামলা করা হয়েছে। আনারুল ইসলাম এতিম ও তার দোষরদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইটাগাছার বাসিন্দারা।

নামে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ইটাগাছা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রশিদ, নুরুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান লাভলু, মৃত হায়াত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস। চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরা আমলি আদালত-১ এ মামলা দায়ের করেছেন ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিম। মামলার বিবরণে জানা যায়, জাহানাবাজ গ্রামের ননি গোপাল সাধনের কন্যা বিধবা নিলিমা সরদারের সহিত কর্ম সূত্রে পরিচয় ঘটে ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট নিলিমা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে শেফালি খাতুন নাম গ্রহণ করে আনারুল ইসলাম এতিম কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের সম্মতিতে সাতক্ষীরা কোট থেকে এফিডেভিট’র মাধ্যমে ১৮ আগস্ট মৌলভীর মাধ্যামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোট থেকে রেজিস্টার করে ১০৮২/২১ নং হলফনামা সম্পাদন করে। ইটাগাছা বিহারির পুকুরধারে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।

৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আব্দুর রশিদ, লাভলু, মোহাম্মদ আলী, সুব্রত বিশ্বাস ২০২২ সালের ১ মে রাত্র ১০ টার সময় ভাড়া বাড়িতে গিয়ে বৈবাহিক সমস্ত কাগজপত্র ভূয়া বলে এবং হিন্দু বিধবা নিয়ে ঘর সংসার করতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে না হলে পত্র-পত্রিকায় নিউজ ছাপিয়ে সম্মানহানি করা হবে বলে শাসিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসে, আর বাকি ৩০ হাজার টাকা না দিলে ভয়ংকর পরিণতি হবে বলে শাসিয়ে আসে। এসময় তারা শেফালি খাতুনের শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং আনারুল ইসলাম এতিম ও শেফালি খাতুনকে কিল ঘুষি মেরে ১২ আনা ওজনের স্বণের চেইন ছিড়িয়া নিয়ে তার স্পর্শকাতর অংঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

গত ৯ মে ২০২২ চাঁদার বাকি ৩০ হাজার টাকা চাইতে গেলে বাদি এতিম আর কোন টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ১১ মে ২০২২ স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘ইটাগাছায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে লিভ টুগেদার সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকা’ শিরোনামে আব্দুর রশিদ সংবাদ প্রকাশ করে। বাদিকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে বলে আদালতে আর্জিতে বলেন। এব্যাপারে মামলার বাদির সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে সে বলে আমি ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিবাহ করেছি, আসামিরা আমাকে ভয়ভীতি মারধর ও সম্মানহানি করে চলেছে। আমি নিরিহ মানুষ আদালতের দারস্থ্য হয়েছি আদালত যে বিচার করবে আমি মেনে নিব আমার সম্মান তো আর ফিরে পাবো না। আর কারো যেনো আমার মতো অপদস্থ করতে না পারে।

সাক্ষীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা যা জানি আদালতে তাই-ই বলবো। ১৬ মে ২০২২ আমলি আদালত-১, মামলা নং সিআর ৫০৩/২২। আদালত মামলাটি আগামী ৫ আগস্ট ২০২২ তারিখের মধ্যে সাতক্ষীরা পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেন। এব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা মামলা, আশা করি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। আমি আইনের প্রতি আস্থাশীল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন