জাতীয় ডেস্ক :
কুড়িগ্রামে পেট্রল ও অকটেনের সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
শনিবার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এস এস ফিলিং স্টেশনে পেট্রল ও অকটেনে মজুত শূন্যের কোটায় নেমে আসায় ডিসপেনসার ইউনিট মেশিন কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা শহর লাগোয়া সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ত্রিমোহনী এলাকায় অবস্থিত মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনে পেট্রল ও অকটেনের মজুত প্রায় শূন্যের কোটায় চলে আসায় শনিবার দুপুর থেকে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির আওতাভুক্ত মেসার্স এসএস ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, এ ফিলিং স্টেশনে ২৫ হাজার লিটার পেট্রল এবং ১৫ হাজার লিটার অকটেন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংকার রয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পেট্রলের মজুত ৪৭১ লিটার ও অকটেনের মজুত ৪৫১ লিটারে নেমে এসেছে। এ মজুত ট্যাংকারের ফিল্টারের নিচে নেমে আসায় উত্তোলন করা সম্ভব না হওয়ায় বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তারা বাঘাবাড়ী, রংপুর ও পার্বতীপুর ডিপো থেকে পেট্রল ও অকটেন সরবরাহ নিয়ে আসেন। এ অবস্থায় গত ৩০ এপ্রিল ১৫ হাজার লিটার অকটেন এবং গত ৫ মে সাড়ে ৪ হাজার লিটার পেট্রল সরবরাহ এসেছিল। ফলে মজুত পরিস্থিতি বর্তমান অবস্থায় চলে এসেছে।
মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী সমরজিৎ সাহা রিন্টু জানান, পদ্মা অয়েল কোম্পানি আওতাধীন তাদের দু’টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে ত্রিমোহনী এলাকায় অবস্থিত ফিলিং স্টেশনে ১৫ হাজার লিটার পেট্রল এবং ১০ হাজার লিটার অকটেন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ট্যাংকার রয়েছে। এখানে শনিবার দুপুরে পেট্রলের মজুত ৭০০ লিটার এবং অকটেনের মজুত ৫০০ লিটারে নেমে আসায় বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সমরজিৎ সাহা রিন্টু আরও জানান, জেলা শহরের আদর্শ পৌরবাজার সংলগ্ন এলাকায় তাদের মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশন নামে আরেকটি পাম্প রয়েছে। এ পাম্পে সাড়ে ১৪ হাজার লিটার পেট্রল ও ১০ হাজার লিটার অকটেন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দু’টি ট্যাংকার রয়েছে। শনিবার সকালে এখানকার মজুত পেট্রল ৪ হাজার লিটার আর অকটেন দেড় হাজার লিটারে নেমে এসেছে। এখানে দৈনিক দেড় হাজার লিটার পেট্রল ও ৫০০ লিটার অকটেন বিক্রি হয়ে থাকে। এ অবস্থায় সরকারি যানবাহন এবং মোটর সাইকেলে রেশনিং করে পেট্রল ও অকটেন দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে জেরিকেনে কোনো পেট্রল ও অকটেন দেওয়া হচ্ছে না।
এখানে গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে সাড়ে ৪ হাজার লিটার পেট্রল আনা হয়েছিল। সেখান থেকে পেট্রল ও অকটেন আনার জন্য এখনও দু’টি ট্যাংক লরি অপেক্ষা করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির আওতাধীন ২৩টি পেট্রল পাম্প রয়েছে। এছাড়া ২০ জনের মতো এজেন্ট রয়েছে। এ কোম্পানিগুলোর বাঘাবাড়ী, পার্বতীপুর ও রংপুর ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। এখন প্রত্যেকটি পাম্পের পেট্রল ও অকটেনের মজুত পরিস্থিতি কমবেশি একই রকম বলে জানা গেছে। তবে জেলায় ডিজেলের আপাতত কোনো সংকট নেই।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য তিনি পেয়েছেন তাতে চাহিদা অনুযায়ী পেট্রল ও অকটেনের সরবরাহ কম। সার্বিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। দ্রুত এ অবস্থার অবসান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।